ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সচল শিক্ষা প্র্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সচল শিক্ষা প্র্রতিষ্ঠান

.

টানা তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঈদুল ফিতর নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহের জন্য ছুটি দেওয়া হয়। এর মধ্যে সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে বৃহস্পতিবার সকালে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়িয়েছে আবহাওয়া অফিস। শিখন ঘাটতি পূরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শনিবারের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দেশের বর্তমান তাপমাত্রা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রায়ও কমবেশি পার্থক্য রয়েছে। কারণেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলিও। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, এমন আবহাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর রুটিন পরিবর্তন করা উচিত। প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সময় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস হবে বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত। হিটস্ট্রোকে যেন শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত না হয়, সে জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুপেয় পানি, বৈদ্যুতিক পাখা, স্যালাইন রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাপপ্রবাহ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধিও নির্ধারণ করা হবে। সব শিক্ষার্থী শিক্ষককে মেনে চলতে হবে এই বিধি।

২০২৩ সালকে বাংলাদেশের উষ্ণতম বছর হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। ওই বছর একটানা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলার রেকর্ড হয়েছিল। ফলে, নিয়ে পরপর দুই বছর প্রায় একই ধরনের তাপপ্রবাহের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তি বেড়েছে। অন্তত ৩৫ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহের নেতিবাচক প্রভাব জনজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় বছর দেশের আম বাগানগুলোতে বেশি মুকুল আসায় বাম্পার ফলন বৃদ্ধিসহ ব্যাপক বাণিজ্যের স্বপ্ন দেখছিলেন আমচাষি ব্যবসায়ীরা। আশা করেছিলেন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে গত বছরের তুলনায় এবার আরও বেশি পরিমাণ আম রপ্তানি করার। কিন্তু  তীব্র তাপপ্রবাহ তাদের স্বপ্ন ম্লান করে দিয়েছে। রাস্তার ধারে, বাড়ির আঙিনায়, মাঠ-ঘাট আনাচে-কানাচে অধিকাংশ আম গাছের অর্ধেকের বেশি মুকুল ঝরে গেছে। কয়েকজন মানুষের মৃত্যুর খবরও আছে হিটস্ট্রোকে।

বর্ধিত তাপমাত্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় স্বাভাবিকভাবে ক্লাস পরিচালনা কঠিন হবে। এজন্য যথাসম্ভব দ্রুত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ক্লাস শেষ করা বাঞ্ছনীয়। যেমনÑ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক পাখা প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা চাই। বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে যথাযথ সচেতনতা তৈরি করা প্রশিক্ষণ দেওয়া আবশ্যক।

×