ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শেষ হলো গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

জবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ১০ মে ২০২৪

শেষ হলো গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

পরীক্ষার হল পরিদর্শনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হলো এ বছরের গুচ্ছ ভর্তিযুদ্ধ। 

শুক্রবার (১০ মে) সারাদেশের ২২টি কেন্দ্রে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ‘সি’ ইউনিট ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩ হাজার ৬২৯টি আসনের পরিবর্তে মোট আবেদন করে ৪০ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষার্থী।

‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় পাঁচ মিনিট দেরিতে কেন্দ্রে আসায় পরীক্ষা দিতে পারেনি দুই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১টা ১০মিনিটে এসে পৌঁছায়। নিয়মানুযায়ী ১১টা ৫ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ না করায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা হলেন, রাহাত আলম। তিনি রাজধানীর লালবাগ থেকে এসেছে। আরেক পরীক্ষার্থী হলেন এম এ মুনতাসীর ইসলাম। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। 

এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল গুচ্ছ ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষা শুরুর ২২ মিনিটের পরেও পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এছাড়া গত ৩ মে গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১২ মিনিট পরেও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।

মুনতাসীরের অভিভাবক (মা) বলেন, এমনিতেই তো দেরি হয়ে গেছে। তাদের সমস্যা কি? একজন শিক্ষার্থীর দেরি হলেও তার সুযোগ দেওয়া উচিত।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড মো জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই আমরা দায়িত্ব পালন করছি। ১১টা ৫ মিনিটের পর ঢুকার কোন নির্দেশনা নেই। আমার কিছু করার নেই। আমি নিয়মের মধ্যে বাঁধা।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার হল পরিদর্শন শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম বলেন, ভর্তির সকল কার্যক্রম ১৫ অথবা ১৬ মে’র মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। ফলে ১৫ জুলাই এর মধ্যেই অনার্স প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে কোনো ধরনের অনাকাক্ষিত ঘটনা ছাড়াই আজকের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। 

তিনি আরও বলেন, কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। কিছু শিক্ষার্থী দেরি করে আসলেও তাদের প্রবেশে করতে দেওয়া হয়নি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. সাদেকা হালিম বলেন, ভর্তি কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রক্টররা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেকই কাজ করেছি। বিগত দুটি পরীক্ষার পরীক্ষা শুরুর পরও পরীক্ষার্থী প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও আজকে কেন প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান বিভাগ) শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যে ‘এ’ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এছাড়া গত ৩ মে অনুষ্ঠিত হয় ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এতে অংশ নেন ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী। ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতা অর্জন করে ৩১ হাজার ৮১ জন। সে হিসেবে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
 

 এসআর

×