ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাংলাদেশ সাবধান! অতিভারী বৃষ্টি আসছে, সঙ্গে থাকবে ভূমিধস

প্রকাশিত: ২১:০০, ২৭ মে ২০২৫

বাংলাদেশ সাবধান! অতিভারী বৃষ্টি আসছে, সঙ্গে থাকবে ভূমিধস

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশে কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে পারে অতিভারী বর্ষণ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি অঞ্চলে কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিশেষ বার্তায় জানায়, বুধবার থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে পাহাড়ি এলাকায় মাটিধস বা ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

এক সপ্তাহ আগেই সক্রিয় মৌসুমি বায়ু

আবহাওয়াবিদদের মতে, মৌসুমি বায়ু এ বছর নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে আপাতত ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কম থাকলেও বৃষ্টির তীব্রতা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এখন এক ধরনের রহস্যময় আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ভারত অভাবনীয় বৃষ্টির সম্মুখীন হয়েছে। মুম্বাইয়ে ১০৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে এবং সেখানে জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট।

বাংলাদেশে আবহাওয়ার প্রকৃতি তুলনামূলক ভিন্ন। সকালবেলায় প্রখর রোদ, আর বিকেলে কালো মেঘে বৃষ্টি—এই রকম চিত্র এখন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইতোমধ্যে বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা বিভাগের পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এর ফলে দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কৃষিতে ইতিবাচক প্রভাব

বৃষ্টির প্রভাবে দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। গতকাল ফেনীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সিলেটে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৩১ মিলিমিটার। রাজধানী ঢাকাতেও ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

এই বৃষ্টিপাত যেমন গরম কমাবে, তেমনি কৃষিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হাওর অঞ্চলে ধান কাটা শেষ হওয়ায় কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বরং বৃষ্টির কারণে আমের উৎপাদন ও ওজন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেষ কথা

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত বড় বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষদের জন্য ভূমিধস নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সূত্রঃ https://youtu.be/6xwwlSl9w3Y?si=Zv5npB-1anbb58Fy

ইমরান

×