
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে করে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলের অনেক জনপদ পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের জল অনুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বুধবার (২৮ মে) দিবাগত রাতে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর ১২টি পয়েন্টের মধ্যে ছয়টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য নদীগুলোর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি।
এর মধ্যে বিষখালী নদীর পানি বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে এক সেন্টিমিটার, ভোলা জেলায় মেঘনা নদীর তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে ৬৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর সদর উপজেলার বলেশ্বর নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে ভোলা খেয়াঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদী, বরিশালের কীর্তনখোলা, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে পায়রা এবং বরগুনার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে বুড়িশ্বর নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। আশা করা যাচ্ছে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে পানি স্বাভাবিক স্তরে চলে আসবে। পানি বৃদ্ধিতে বেড়িবাঁধ, মাছের ঘের, ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মুমু