সিমোনা হালেপ
আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে চোট নিয়েও বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ডস্লাম উইম্বলডন ওপেন টেনিসের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা সিমোনা হালেপ। লন্ডনে সোমবার রাতে প্রমীলা এককের শেষ ষোলোর ম্যাচে ১৬ নম্বর বাছাই রোমানিয়ার কন্যা হালেপ সরাসরি ৬-১, ৬-২ সেটে উড়িয়ে দিয়েছেন চার নম্বর বাছাই স্পেনের পলা বাদোসাকে।
উইম্বলডনের এবারের আসরে মেয়েদের এককে ৩০ বছর বয়সী হালেপই এখন একমাত্র সাবেক বিজয়ী হিসেবে টিকে আছেন। এই আসরে ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। বাদোসার বিরুদ্ধে জয়ের পর হালেপ বলেন, এর মানে অনেকটাই যে আমি ইনজুরি ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লড়াই করার পর কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরে এসেছি। আমি প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করছি। আমি মনে করি আমি যদি এটি করি তাহলে আরও ভালভাবে ফেরা সম্ভব। আসলে আমি যেভাবে খেলছি তাতে সত্যিই খুশি। আমি সত্যিই আত্মবিশ্বাসী; কোর্টে আসাটা আনন্দের।
কোভিড মহামারীর কারণে ২০২০ উইম্বলডন বাতিল করা হয়েছিল। হালেপ ২০২১ সংস্করণে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হতে পারতেন। কিন্তু কাফ ইনজুরির কারণে তিনি কোর্টে নামতে পারেননি। যে কারণে ২০২১ ফরাসী ওপেন থেকেও নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন। চোট প্রসঙ্গে হালেপ বলেন, আমি গত দুই-তিন মাসে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি যা করেছি তা নিয়ে সত্যিই খুশি। আমি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। যতটা সম্ভব নিজেকে ফিট করার জন্য কাজ করছি। এখনও উন্নতি করতে চাই। আসরের সেমিফাইনালে জায়গা পেতে হালেপ খেলবেন যুক্তরাষ্ট্রের ২০ নম্বর বাছাই আমান্ডা এ্যানিসিমোভার বিরুদ্ধে।
শেষ আটের লড়াই নিয়ে রোমানিয়ান সুন্দরী বলেন, আমি নিশ্চিত যে আবারও ভাল টেনিস খেলতে পারব। তবে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। আপনাকে মনে রাখতে হবে এটা উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে এটির জন্য প্রস্তুত। আর জয়ের জন্য অপেক্ষা করছি। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকে হালেপ চতুর্থ রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে ফরাসী ওপেন থেকে হেরে বিদায় নেন।
এদিকে ক্যারিয়ারের শেষ উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠেছেন ভারাতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। বর্তমানে সানিয়ার বয়স ৩৫ বছর ছুঁইছুঁই। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এবারের উইম্বলডনই শেষ। আর কখনও তাকে সাদা পোশাকে দেখা যাবে না অল ইংল্যান্ড ক্লাবের গ্রান্ডসøামে। ক্যারিয়ারের শেষ উইম্বলডনটা রাঙানোর পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন তিনি।
নারী দ্বৈত বিভাগে ব্যর্থ হলেও মিশ্র দ্বৈতে শিরোপার পথে এগিয়ে গেছেন অনেকটা। কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছেন চতুর্থ বাছাই জুটিকে। ক্রায়েশিয়ার মেট পেভিককে সঙ্গী করে ৬-৪, ৩-৬, ৭-৫ ব্যবধানে জিতে পৌঁছে গেছেন প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে। উইম্বলডনের মিশ্র দ্বৈতে এটাই সানিয়ার সর্বোচ্চ অর্জন। এর আগে শেষ ষোলোতে ওয়াকওভার পেয়েছিলেন সানিয়া-পেভিক। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ছিলেন জন পিয়ার্স ও গ্যাব্রিয়েলা ডাবরস্কি। চতুর্থ বাছাই এই জুটির বিরুদ্ধে বেশ লড়াই করতে হয় তাদের। এক ঘণ্টা ৪১ মিনিট লড়াই শেষে শেষ হাসিটা হেসেছেন সানিয়ারাই।
লড়াইয়ের প্রথম সেটে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হেরে যান তারা। তৃতীয় সেটে সানিয়াদের দারুণ প্রত্যাবর্তন বিদায়ঘন্টা বাজিয়ে দেয় ডাবরস্কিদের। বাছাইক্রমের হিসেবে অবশ্য সানিয়াদের সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ তুলনামূলক সহজও হয়ে যেতে পারে। শেষ আটে যেখানে চতুর্থ বাছাইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছিল। সেখানে সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হয়ে যেতে পারে চলতি উইম্বলডনের সপ্তম বাছাই রবার্ট ফারাহ-জেলেনা অস্টাপেঙ্কো জুটি।