নোভাক জোকোভিচ
করোনার ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকার কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা হয়নি। ফরাসি ওপেনে খেললেও, হেরে ছিটকে যেতে হয়েছিল তাকে। চলতি উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের শুরুতেই প্রমাদ গুনেছিলেন তার ভক্তরা। ২০ বছর বয়সি ইতালির টেনিস সেনসেশন সিনারের কাছে ২ সেটে পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে নামটা যে তার নোভাক জোকোভিচ। যিনি ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করে যান। বাস্তবের মাটিতে ঘটলও তাই। দুরন্ত কামব্যাক করে ঘাসের কোর্টে নিজের ক্যারিয়ারের ১১তম বার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই সবাইকে চমকে দেন অনামী জ্যানিক। ইতালির এই উঠতি তারকা প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন। ম্যাচের শুরুতেই নোভাকের বিরুদ্ধে দুই সেট এগিয়ে যান ২০ বছরের তরুণ। প্রথম দুই সেটে খেলার ফলাফল ছিল জ্যানিকের পক্ষে ৭-৫, ৬-২। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত অবশ্য জ্যানিক সিনারের বিরুদ্ধে পাঁচ সেটের কঠিন লড়াইয়ের পর জয় পেলেন সার্বিয়ান তারকা।
মঙ্গলবার সেন্টার কোর্টে কঠিন লড়াইয়ে প্রথম দুই সেট হেরে যান তিনি। তবে নোভাক নিজের ছন্দ হারাননি। ফলে টানা তিন সেটে জিতে ম্যাচ নিজেদের করায়ত্ত করেন জোকোভিচ। ৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের লড়াই হয় দুই জনের মধ্যে। খেলার ফলাফল জোকোভিচের পক্ষে ৫-৭, ২-৬, ৬-৩, ৬-২, ৬-২। এই নিয়ে ১১ বার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠলেন জোকোভিচ।
চলতি বছরে এটাই তার শেষ গ্র্যান্ডস্লাম । তাই এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া ২০টি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। প্রথম দুই সেটে অসংখ্য আনফোর্সড এরর করেন জোকোভিচ। ফলে বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলেন সিনার। তৃতীয় সেটে মাত্র দুইবার আনফোর্সড এরর ছিল জোকারের। সেমিফাইনালে নোভকের মুখোমুখি হবেন ক্যামেরন নরি বা ডেভিড গফিনের মধ্যে কেউ একজন।