ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রুমেল খান

খেলাধুলার ইতিহাস ও অর্জন

প্রকাশিত: ০০:১৪, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

খেলাধুলার ইতিহাস ও অর্জন

বাংলাদেশের খেলাধুলার গত ৫০ বছরের সময়কালে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, গলফ, আরচারি, গুটিং, দাবা, ভারোত্তোলন, সাঁতার, এ্যাথলেটিক্স, কাবাডি, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলায় সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে। দেশের মাটিতে সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে আয়োজিত হয়েছে আইসিসি নকআউট বিশ^কাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বিশ্ব রোলার স্কেটিং চ্যাম্পিয়ন, এশিয়ান কাপ ক্রিকেট, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল, এসএ গেমস ছাড়াও বিভিন্ন খেলার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ও চ্যাম্পিয়নশিপ। এছাড়া বিগত বছরগুলোতে ক্রীড়ায় বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন, প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী, বিদেশে অংশগ্রহণ এবং এর আগে প্রস্তুতিপর্বের জন্য বিশেষ অনুদানসহ পেয়েছে ক্রীড়াঙ্গন। * ফুটবল ॥ বাংলাদেশ তথা এই উপমহাদেশে ফুটবলের সূচনা হয়েছিল ব্রিটিশ আমল থেকে। ১৯৪৭-এর দেশ ভাগ ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ফুটবল বাংলাদেশে নতুন যুগে প্রবেশ করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’ নামে একটি দল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য সরাসরি কাজ করে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই যুদ্ধকালীন প্রথম কোন ফুটবল দল। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ১৬টি ম্যাচ খেলেছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। সেই সময় মুক্তিযুদ্ধের জন্য ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ভারতীয় রূপী তহবিল গঠন করতে পেরেছিলেন ফুটবলাররা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিপুল জনসমর্থন তৈরি করতেও অবদান রেখেছিলেন তারা। ১৯৮৪-১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল দল বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলেও তারা আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। ১৯৮৯ সালে তারা প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও সেটি ফিফা স্বীকৃত কোন আসর ছিল না। কেননা বাংলাদেশ দল ‘বাংলাদেশ লাল দল’ নামে অংশ নেয়। এছাড়া প্রতিপক্ষ দলগুলোর বেশিরভাগই ছিল বিশ^বিদ্যালয় দল বা ক্লাব দল। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে ১৯৮৪, ১৯৮৫, ১৯৮৯ ও ১৯৯৫ সালের ফাইনালে হেরে রৌপ্যপদক লাভ করে। অবশেষে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ প্রথম কোন আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতে অধিনায়ক মোনেম মুন্নার নেতৃত্বে। সেটা ছিল মিয়ানামারে অনুষ্ঠিত ‘চার জাতি আন্তর্জাতিক আমন্ত্রণমূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট’। এরপর ১৯৯৯ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জেতে। ওই বছরই তারা ভারতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠে। কিন্তু স্বাগতিক ভারতের কাছে হেরে যায়। এরপর ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশ ফুটবলে তাদের দ্বিতীয় স্বর্ণপদক লাভ করে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ দুটি আসরে রানার্সআপ হয়। একটি মিয়ানামারে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড রয়্যাল চ্যালেঞ্জ কাপে এবং আরেকটি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়। ২০২১ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত থ্রি নেশন্স কাপের ফাইনালে ওঠে ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের কাছে হেরে যায়। বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্য তিনটি। দুটিই সাফ অ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে। একটি ২০১৫ সালে, ভারতকে ও অন্যটি ২০১৮ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে। তৃতীয় সাফল্য ২০১৯ সালে। উয়েফা ডেভেলপমেন্ট কাপের (অ-১৬) ফাইনালে প্রতিপক্ষ মালদ্বীপকে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। এছাড়া সাফ অ-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে দু’বার রানার্সআপ হয় বাংলাদেশের কিশোর ফুটবলাররা। প্রথমবার ভুটানে অনুষ্ঠিত ২০১৭ আসরে। দ্বিতীয়বার নেপালে অনুষ্ঠিত ২০১৯ আসরে। বাংলাদেশ মহিলা ফুটবলের সূচনালগ্ন ২০০২ সালে। আজ দেশে-বিদেশে নজরকাড়া সাফল্য পাওয়াতে সমগ্র ফুটবলবিশে^রই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মহিলা ফুটবলাররা। সিনিয়র পর্যায়ে এখনও চূড়ান্ত সাফল্য না পেলেও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে কিন্তু দুর্বার বাংলাদেশের জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। তারা আটটি শিরোপা জিতেছে এ পর্যন্ত। এছাড়া রানার্সআপ হয়েছে সাফ অ-১৫ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে (২০১৮) এবং এএফসি অ-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বে (২০১৯)। প্রতিটি আসরেই দলের কোচ ছিলেন গোলাম রব্বানী ছোটন। ২০১৯ সালে প্রথম নারী রেফারি জয়া চাকমা ফিফার স্বীকৃতি পান। ক্রিকেট ॥ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে। ১৯৮৬ সালে তারা প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলে। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জেতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ওয়ানডে স্ট্যাটাস লাভ করে এবং প্রথমবারের মতো ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। ৩৫ বছর ধরে ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ একমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটেই টেস্ট খেলুড়ে সব দেশের বিরুদ্ধে জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে তারা ২টি ট্রফি ও ৩০টি সিরিজও জেতার গৌরব অর্জন করে। বাংলাদেশ প্রথম ট্রফি জেতে ২০০৭ সালে (এ্যাসোসিয়েটস্ ট্রাই সিরিজ)। দ্বিতীয় ট্রফি ২০১৯ সালে (আয়ারল্যান্ড ট্রাই নেশন্স সিরিজ)। বাংলাদেশের ওয়ানডে প্রথম সিরিজ জয় ২০০৫ সালে, জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে (৩-২)। ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করে। ২০০০-২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ৬৫ টেস্ট সিরিজ খেলে ৬টি সিরিজে জেতে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে। টি২০ তে বাংলাদেশের একটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আছে। ২০১৯ সালে ফাইনালটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। ফলে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের সঙ্গে ট্রফি ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ৪৩টি টুয়েন্টি২০ সিরিজ খেলে ৮টি সিরিজে জয়ের কৃতিত্ব প্রদর্শন করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে হারানো। ২০২১ সালে নিজেদের মাটিতে টাইগাররা ৪-১ ব্যবধানে অসিদের হারায়। বাংলাদেশ ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপে ক্রিকেটে তারা তাদের সর্বপ্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচটি খেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে পাকিস্তান এবং স্কটল্যান্ডকে হারায়। ১৯৯৮ সালে মোহাম্মদ রফিকের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথম কোন ওয়ানডে ম্যাচে জয়ের স্বাদ পায়। ছয়টি ওয়ানডে বিশ^কাপ খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে (২০১৫) যাওয়াটা বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। ২০০০ সালে বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট অঙ্গনে পা রাখে। ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে হেরে যায়। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ৪৩ রানে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়েকে। টি২০ তে বাংলাদেশের একটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আছে। ২০১৯ সালে ফাইনালটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। ফলে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের সঙ্গে ট্রফি ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। ২০১০ সালে চীনের গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে টি২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশ স্বর্ণপদক অর্জন করে। ফাইনালে তারা আফগানিস্তানকে হারায় । আইসিসির সহযোগী দেশগুলো নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘এসিসি ট্রফি’ (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) তে টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ (১৯৯৬ ও ১৯৯৮ সালে)। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের ২০০৭ সালে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। দলটি ২০০৭ সালের এসিসি প্রতিযোগিতায় শিরোপা জয় করে। ২০১১ সালের মহিলাদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রতিযোগিতায় ৫ম হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলার মর্যাদা লাভ করে। ২০১৮ এসিসি প্রমিলা এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ শিরোপা জেতে। ২০১৯ সাউথ এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়ে স্বর্ণপদক পায় বাংলাদেশ (শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে)। এশিয়ান গেমসে দু’বার অংশ নিয়ে দু’বারই রৌপ্যপদক লাভ করে বাংলাদেশ (২০১০ ও ২০১৪ আসরে)। এছাড়া আইসিসি ওমেন্স ওয়ার্ল্ড টি২০ বাছাইপর্বে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন এবং ২০১৫ আসরে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। ২০২১ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন করে। * হকি ॥ ১৯৮৫ সালে ঢাকায় এশিয়া কাপ হকি অনুষ্ঠিত হলে দেশে হকির জোয়ার বয়ে যায়। হকিতে এসএ গেমসে বাংলাদেশ ১৯৯৫, ২০১০ ও ২০১৬ সালে ব্রোঞ্জপদক জেতে। এছাড়া বহুবছর পর দেশে শুরু হয়েছে নারী হকিও। ইতোমধ্যেই গঠিত হয়েছে জাতীয় নারী হকি দল। * সাঁতার ॥ ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৯৮৫ সালের সাফ গেমসে সাঁতারে ৫টি স্বর্ণ জিতে ইতিহাস গড়েন মোশাররফ হোসেন। ২০১৬ এসএ গেমসে প্রথম বাংলাদেশী নারী হিসেবে সাঁতারে দুটি স্বর্ণপদক জয় করেন মাহফুজা খাতুন শীলা। * গলফ ॥ ২০১০ সালে ব্রুনাই ওপেনের মাধ্যমে দেশের প্রথম পেশাদার গলফার হিসেবে ট্রফি জেতেন সিদ্দিকুর রহমান। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন তিনি। দুটি আন্তর্জাতিক শিরোপা আছে তার। অন্যটি ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান ওপেনে। নিয়মিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলার সুবাদে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী তিনি। * বক্সিং ॥ আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের পক্ষে যিনি সর্বপ্রথম পদকটি এসেছিল বক্সিং থেকে। ১৯৭৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত ‘এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ অংশ নিয়ে আবদুল হালিম জিতেছিলেন ব্রোঞ্জপদক। যা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের প্রথম কোন পদক জয়ের নজির। ১৯৮৬ সালে সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। আর দেশের হয়ে প্রথম পদক জেতেন মোশাররফ হোসেন। * দাবা ॥ ১৯৮৩, ১৯৮৫ ও ১৯৮৯ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন বাংলাদেশের ‘দাবার রানী’ খ্যাত রানী হামিদ। ১৯৮৭ সালে উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার হন বাংলাদেশের নিয়াজ মোরশেদ। * কাবাডি ॥ বাংলাদেশের কাবাডির স্বর্ণযুগ ছিল ১৯৮৫-২০০৯ সাল পর্যন্ত। এই ২৪ বছরে তারা বিশ^কাপ, এশিয়ান গেমস, এশিয়ান ইনডোর গেমস এবং সাউথ এশিয়ান গেমস ... এই চারটি আসরে অংশ নিয়ে কোন শিরোপা জিততে না পারলেও ছয়টিতে দ্বিতীয় ও চারটিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। পল্টনের ভলিবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে তারা হারায় কেনিয়াকে। আন্তর্জাতিক কাবাডিতে এটাই লাল-সবুজ বাহিনীর প্রথম শিরোপা। * শূটিং ॥ ১৯৯০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে দলগত ইভেন্টে আতিকুর রহমান ও আব্দুস সাত্তার নিনি স্বর্ণ জেতেন। আন্তর্জাতিক শূটিংয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সর্বোচ্চ ২৬টি স্বর্ণসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বহু স্বর্ণজয় করেছে বাংলাদেশ। * ভলিবল ॥ ২০১৬ সালে প্রথম কোন আন্তর্জাতিক ভলিবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু সিনিয়র মেনস সেন্ট্রাল জোন আন্তর্জাতিক ভলিবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে কিরগিজস্তানকে হারায় বাংলাদেশ। * টেবিল টেনিস ॥ ১৬ বার জাতীয় টেবিল টেনিসে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০০১ সালে দেশের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান জোবেরা রহমান লিনু। * এ্যাথলেটিক্স ॥ বাংলাদেশের একমাত্র স্প্রিন্টার হিসাবে মরহুম শাহ্ আলম দু’-দুবার দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানবের খেতাব অর্জন করেন ১৯৮৫ এবং ১৯৮৭ সালের সাফ গেমসে। * এসএ গেমস ॥ ২০১৯ এসএ গেমসে এক আসরে সবচেয়ে বেশি ১৯টি স্বর্ণ জেতে বাংলাদেশ।
×