ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আইসিসির নতুন নিয়মে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে বোলাররা!

প্রকাশিত: ২০:২০, ২৪ জুলাই ২০২০

আইসিসির নতুন নিয়মে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে বোলাররা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনার কারণে যৌক্তিকভাবেই বল শাইনিংয়ে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। তবে, উইকেট থেকে পাওয়ার প্লে'র নিয়ম পরিবর্তন, ক্রিকেটে বরাবরই সুবিধাবঞ্চিত হয়েছেন বোলাররা। বিশেষ করে বলতে গেলে পেসাররা। সেই আক্ষেপটাই ঝরলো টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের কণ্ঠে। লকডাউনের পর প্রথমবারের মতো হোম অব ক্রিকেটে এসে আরও জানিয়েছেন, ফিল্ডিং আর ফিটনেসে উন্নতি করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই স্পিডস্টার। টাইগারদের বেশকিছু সিরিজ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিলের খবরে বেশ হতাশ তাসকিন। ক্রিকেট! ব্যাটে বলে ভদ্রলোকের খেলা। বল হাতে আগুনে গতি, চোখ ধাঁধানো সুইং, তাক লাগানো ঘূর্ণি। ডেলিভারিগুলোর মেরিট বিচার করে কখনও ডাক করে, কখনও লিভ করে উইকেট বাঁচানো। আর সুযোগ পেলে সপাটে বাউন্ডারি ছাড়া করছেন উইলোবাজরা। এমনই ভারসাম্যপূর্ণ লড়াই হতো ২২ গজে। তবে ১৯৮০ সালের পর থেকে ধাপে ধাপে পাল্টাতে থাকে চিত্র। 'পাওয়ার প্লে'র একটা ধারণা এসে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে নিক্তিটা হালিয়ে দেয় ব্যাটসম্যানদের দিকে। বর্তমানে শুরুর দশ ওভার সর্বোচ্চ ২জন ফিল্ডার থাকতে পারেন ৩০ গজ রেখার বাইরে। ১১ থেকে ৪০ ওভার সংখ্যাটা সর্বোচ্চ ৪ ফিল্ডার। শেষ ১০ ওভারে ৫ ফিল্ডার থাকতে পারেন বাউন্ডারি বাঁচাতে। আর টি-টোয়েন্টিতে শুরুর ৬ ওভারে ২, বাকি ১৪ ওভারে সীমানা রক্ষার দায়িত্ব নিতে পারেন সর্বোচ্চ ৫ ক্রিকেটার। মূলত ব্যবসায়িক স্বার্থে হাই-স্কোরিং ম্যাচের লক্ষ্যেই বারংবার পরিবর্তন এসেছে ফিল্ডিংয়ের নিয়মে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিয়মগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বোলারদের। এতো গেলো পুরনো খড়গ। করোনা ভাইরাসের নতুন ধারালো ব্লেডেও রক্তক্ষরণের শিকার বোলাররাই। বিশেষ করে পেস বোলার। লালা ব্যবহার করে শাইনিংয়ে নিষেধাজ্ঞা আসায় বিপাকে গতিবাজরা। ৪ মাস পর অনুশীলনে ফেরা দেশি স্পিড স্টার করছিলেন সেই আক্ষেপটাই। তাসকিন বলেন, 'দিন যতো যাচ্ছে আইসিসির নিয়মগুলো পেসারদের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে সব। বল শাইন করার নিয়ম বদলে যাচ্ছে। রিভার্স সুইংয়ের জন্য শাইনিংটা জরুরি। এখন যেহেতু এই নিয়মটা বদলে যাচ্ছে সেহেতু এর মধ্যে থেকে মানিয়ে সিতে হবে। হয়তো নতুন কোন নিয়ম বের হবে। একা তাসকিন নয়, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া বাকি সবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। করোনার বলি হয়েছে টাইগারদের ৪ টা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ। এশিয়া কাপ উঠেছে বাতিলের খাতায়। নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। ব্যক্তি ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়গুলো হতাশ করে এই স্পিডস্টারকে। তিনি বলেন, 'যখন থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে তখন থেকেই অনেক সিরিজ স্থগিত হচ্ছে। এই জিনিসগুলো দেখে কষ্ট লাগে।' অভিষেকের পর থেকেই তাসকিনকে ঘিরে অপার সম্ভাবনার সোপান দেখেছেন সিনিয়র ক্রিকেটার থেকে বোর্ড কর্তারা, সতীর্থ থেকে সমর্থকরা। তবে নিজের দুর্বলতার দিকেই বেশি মনোযোগী এই পেসার। তাসকিন জানান, 'আমার যেসব দুর্বলতা আছে তার মধ্যে ফিটনেস ফিল্ডিংটা অন্যতম। কোচের পরামর্শে সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।' আতশবাজির চমক নয় বরং দীর্ঘস্থায়ী প্রদীপ হয়ে আলো দিয়ে যাবেন লাল-সবুজের ক্রিকেটে। ফিটনেস বাড়িয়ে আবারও বোলিং রানআপে দ্বিগুণ তেজে ব্যাটসম্যানদের মনে ত্রাস ছড়াবেন তাসকিন।
×