ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

লড়াকু ফুটবলার খোরশেদ বাবুল

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৩১ আগস্ট ২০১৬

লড়াকু ফুটবলার খোরশেদ বাবুল

লটারিতে নাম উঠা সত্যি ভাগ্যের বিষয়। রাশিয়ান কোচের তত্ত্ববাবধানে থেকে প্রায় ৫০০ জনের মধ্যে নিজেকে তিন জনের মাঝে স্থান করে নেয়া যেন লটারিকেও হার মানায়। সেখান থেকেই যেন বদলে যায় ভাগ্য। তবে এ ভাগ্যকে বদলাতে কঠোর অনুশীলন করতে হয়েছে। একাগ্রচিত্তে মনোনিবেশ করতে হয়েছে ফুটবলে। মেধা, পরিশ্রম আর অফুরন্ত দম এই তিনটাকে পুঁজি করেই যিনি দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ারে নিজেকে পরিশ্রমী লড়াকু ফুটবলার হিসেবে প্রমাণ করতে পেরেছিলেন তিনি। সবার প্রিয় কুশলী ফুটবলার খোরশেদ আলম বাবুল। ঢাকার দর্শকরা যাকে জানেন, খুরশিদ বাবুল নামে। এই লড়াকু ফুটবলারের জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইলে। স্কুল জীবন থেকেই ফুটবলের হাতে খড়ি। ১৯৭৩ সালে তৃতীয় বিভাগের দল ইউনিস্পোর্টিং ভার্সাল একাদশের খেলার সময় ফুটবল বোদ্ধাদের নজরে পড়েন বাবুল। ১৯৭৪ সালে যোগদেন দ্বিতীয় বিভাগ দল ঢাকা স্পোর্টিং এ। ১৯৭৫ সালে যোগদেন ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবে। ফুটবলকে তিনি নিয়েছিলেন ধ্যানগ্যান হিসেবেই। তার লক্ষ্যই ছিল ফুটবলকে করায়ত্ত করা। ১৯৭৬ সালে ভিক্টোরিয়ার অধিনায়ক মনোনীত হন। ১৯৭৭ সালে যোগদেন তার প্রিয় ক্লাব আবাহনী ক্রীড়া চক্রে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সেই থেকে একটানা দশ বছর খেলে গেছেন প্রিয় আকাশী-হলুদ জার্সিতে। সাবেক তারকা এই ফুটবলারের বিভিন্ন দিকে তুলে ধরা হলো। * প্রফেশনাল ফুটবলে নিজেকে কিভাবে জড়ালেন? আসলে প্রফেশনাল ফুটবল বললে ভুল হবে। আমার খেলোয়াড়ি জীবনের মোড় ঘুরানের কথা যদি বলি সেটা ১৯৭৪ সাল। সে সময় জাতীয় দলের প্রথম বিদেশী কোচ হিসেবে আসেন এক বিদেশী। তিনি কোর্টবাড়ী কুমিল্লাতে একটা ফুটবল ক্যাম্প পরিচালনা করেছিলেন। প্রথম অবস্থায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিভাগের প্রায় ৫০০ জন থেকে তিন জনকে নির্বাচিত করা হয় কোর্টবাড়ী ক্যাম্পে যোগদানের জন্য। আমি ওই তিন জনের একজন। অবশেষে ক্যাম্প শুরু হলে আমাকে এক নম্বর লিংকের খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে তিনি না থাকলেও স্থানীয় কোচরা আমাকে আর বাদ দেননি। ১৯৭৫ সালে এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়ন দলে কুয়েতে খেলে আসাটাই পড়ে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। * কিভাবে আবাহনীতে খেলার স্বপ্ন পূরণ হলো বলবেন? স্মরণীয় ক্ষণটার কথা আমার এখনো মনে আছে। ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিল জার্মানি আর হল্যান্ড। ঠিক দু’দিন পর হয়েছিল মোহামেডান বনাম আবাহনীর ম্যাচ। বন্ধুদের নিয়ে দল বেঁধে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে আবাহনীর স্থলে জার্মানি খেলছে। সেইদিন আমার মনের কোনে আবাহনীতে খেলার স্বপ্নটা যেন বার বার আমাকে নাড়া দিচ্ছিল। আমি তর সইতে না পেরে এক পর্যায়ে আবাহনীতে খেলার লুকায়িত ইচ্ছাটা বন্ধুদের সামনে প্রকাশ করে ফেলি। বন্ধুদের কাছ থেকে এ নিয়ে আমাকে অনেক বিদ্রƒপও শুনতে হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে কুয়েতে এশিয়ান ইয়ুথ খেলে এসেই যোগ দেই ভিক্টোরিয়াতে। ওই বছরেই শেখ কামাল আমাকে আবাহনীতে খেলার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তখনকার নিয়মের মারপ্যাঁচে আমি আটকে যাই। সেই সময় নিয়ম ছিল নতুন প্লেয়ারকে প্রথম ক্লাবেই দুই বছর খেলতে হবে। যার ফলে আমাকে ভিক্টোরিয়াতে ’৭৫ এবং ’৭৬ এই দুই বছর খেলতে হয়। এর পরের ঘটনাত সবার জানা। শেখ কামাল কে কথা দিয়েছিলাম বলেই আমি ১৯৭৭ সালে আবাহনীর প্রস্তাব আর ফেলতে পারিনি। সেই থেকে টানা দশ বছর আবাহনীতেই কাটিয়ে দিয়েছি। * তাহলে বলা যায় রাশিয়ান কোচই আপনার আসল রহস্য? পুরোপুরি বললে ভুল হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি আব্দুর রহিম ভাইকে। ১৯৭২ সালের ঘটনা। তখন আমাদের বাসা ওয়ারীতে। প্রতিদিন আউটার স্টেডিয়ামে খেলতে যেতাম। সেখানেই রহিম ভাইয়ের নজরে পড়ে যাই। আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন আমি খেলতে চাই কি না। আমি আমার মায়ের কাছ থেকে অনুমতির কথা বলি। পরে মা অনুমতি দেন এবং আমাকে বুটও কিনে দেন। পরবর্তীতে উনার দিক নির্দেশনা পেয়েই ফুটবলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাই। সেই আমি আজকের খোরশেদ বাবুল। * আপনাদের সময়ের মতো এখন তারকা ফুটবলার চোখে পড়ে না কেন, কারণ কী? হাসি দিয়ে বলেন আগে তারকা খেলোয়াড় দেখে আমাদের মনে বাসা বাঁধত কিভাবে তাদের মতো খেলোয়াড় হওয়া যাবে। যেমন স্বাধীনতার পূর্বে নেওয়াজ আর পরে ছিল সালাহ উদ্দিন ভাই হাফিজ ভাই এনায়েত ভাইদের মতো তারকা খেলোয়াড়। তাদের মতো ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। আমাদের আগ্রহের কমতি ছিল না। যেটা এখনকার ফুটবলারদের মাঝে দারুণ অভাব। * ঢাকার সমর্থকরা মাঠে আপনার দমের কথা এখনও স্মরণ করে। এই দমের রহস্য কী? আসলে ফুটবল খেলায় প্রচুর দমের প্রয়োজন। যদি কেউ মনে করে আমি ফুটবলার হব তবে অবশ্যই তাকে প্রথম শর্তের মধ্যে কিভাবে দম বৃদ্ধি করা যায় সেটা থাকতে হবে। আমি ছোট থেকেই এই বিষয়ে খুবই সিরিয়াস। দেখা গেছে এক সঙ্গে সবার প্র্যাকটিস শেষ হয়েছে অথচ আমি তারপরও একা একা প্র্যাকটিস করে যাচ্ছি। *আপনাদের আমলে ঢাকা লীগে যে মানের খেলোয়াড় আসত এখন সে রকম দেখা যায় না কেন? আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন সে সময় বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা ঢাকা মাঠে খেলে গেছে। শামীর সাকির, করিম মোহাম্মাদ, এমেকা নাসের হেজাজি তাছাড়া সারগেই ঝুকভ, রহিমভ এরা ছিল অনেক উঁচু মানের খেলোয়াড়। অবশ্য এখন এই মানের খেলোয়াড় আনতে গেলে প্রচুর টাকার দরকার। যা আমাদের দেশের ক্লাবের পক্ষে খুব কঠিন বিষয়। * আবাহনীতে খেলার সময় আপনার সেরা মুহূর্ত কোনটা? অবশ্যই ১৯৭৭ সালে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আবাহনীতে যোগ দিয়েই শিরোপার স্বাদ। সেবার সুপার লীগ ছিল নকআউট পদ্ধতিতে। ফাইনালে খেলা ছিল রহমতগঞ্জের সঙ্গে। নির্ধারিত সময় খেলা ড্র হলে ফ্লাডলাইট না থাকায় টাইব্রেকার না হয়ে খেলা পরের দিন গড়ায়। সেদিন আমরা প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে পড়ি। দ্বিতীয়ার্ধে সালাহউদ্দিন ভাই গোল করলে খেলায় সমতা আসে। আমি ছিলাম কড়া মারকিংয়ে। রহমতগঞ্জের কালা ভাই আমাকে রাফ ট্যাকল করলে আমি পরে যাই। রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখান। তখন একটা গ্যাপ তৈরি হয়। আমি কয়েকজন কে কাটিয়ে জয়সূচক গোলটা করি। তাছাড়া ১৯৮১ সালে আমার অধিনায়কত্বে চ্যাম্পিয়ন। অবশ্যই সেটা সেরা মুহূর্ত। * মোহামেডানের হয়ে কোনটা? সেটা ১৯৮৭ সালে মোহামেডান আবাহনী ম্যাচ। সেবার আমি দীর্ঘ দশ বছর আবাহনীতে খেলে ঢাকা মোহামেডানে যোগ দিয়েছি। আমার জন্য নানাবিধ কারণে সেই লীগটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবাহনী ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন আর মোহামেডানকে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে সে ম্যাচে জিতে প্লে অফে জিততে হবে এমন এক কঠিন সমীকরণের মুখোমুখি। আমাদের কোচ নাসের হেজাজি তার রণকৌশল সাজিয়েছিলেন। সে সময় আবাহনী খুব দুর্র্ধর্ষ দল। দলে ছিল সদ্য শেষ হওয়া ইরাকের হয়ে বিশ্বকাপে কাপে অংশগ্রহণ করা খেলোয়াড় শামির সাকির আর করিম মোহাম্মদ। মোহামেডান আবাহনীর সে ম্যাচের আগে আমাদের দল কঠোর অনুশীলন করেছিল। আমার ধ্যান ছিল কি করে আবাহনীকে বিট করা যায়। আমি সারাক্ষণ প্র্যাকটিসের মধ্যেই ছিলাম। খেলার দিন এক পর্যায়ে আবাহনী ২-১ গোলে এগিয়ে। এমেকা খেলায় গোল করে সমতা আনে ২-২। ঠিক ৩৮ মিনিটের সময় মোহামেডান বক্সে বল। আবাহনীর প্রায় সব খেলোয়াড় উপরে উঠে এসেছে। তাদের ধারণা ছিল না এখান থেকে কেউ বল নিয়ে গোল করতে পারবে। কারণ দূরত্ব অনেক। আমি সেই সুযোগটাই নিয়েছিলাম। বল পেয়ে রাইট আউট রঞ্জিতকে থ্রু বাড়াই। সে একটু উপরে উঠে গিয়ে আমাকে মাইনাস করে। সবায় কে হতবাক করে দিয়ে ডি বক্সের কোনা থেকে আমি আবাহনীর জালে বল পাঠাই। আমার এত দিনের পরিশ্রম সাধনা যেন সেই এক ম্যাচের জন্যই। আমার অফুরন্ত দমের কারণেই সেটা সম্ভব হয়েছে। পরে আবারও আবাহনীকে ২-০ গোলে পরাজিত করে মোহামেডান অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। * আরেকটা গোলের কথা অনেকে এখনও আলোচনা করে, মনে আছে আপনার? হাসি দিয়ে জানান সেটা এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের মানাং মারসিয়াংদি ক্লাবের বিপক্ষে ১৯৮৭ সালে। সবার ধারণা ছিল আমি এমেকাকে বল দেব। তাই নজর ছিল তার দিকেই। আমি সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ৫/৬ জন কে কাটিয়ে তাদের বিপক্ষে গোল করি। * জাতীয় দলের হয়ে সেরা খেলা কোনটা? সেটা ১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসে দিল্লীতে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়। অনেকেই বলেন আমি নাকি সেই দিন অসাধারণ খেলেছিলাম। আমার একটা গোলও ছিল তাদের বিপক্ষে। অনেকের মতে সেটা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যারাডোনার করা গোলটার মতোই। আমার সেই গোলটার কথা প্রায় মনে হয়। * এক সময় দেশের ফুটবলের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। এখন সেটা হারিয়ে গেছে। আপনার খারাপ লাগে না? অবশ্যই খারাপ লাগে। খেলার প্রাণ হলো দর্শক। অনেক সময় দর্শকদের উল্লাসেই খেলা ভাল হতো। আগে মোহামেডান আবাহনীর খেলায় একটা উন্মাদনা কাজ করত। সারারাত ঘুম হতো না। খেলায় ভাল না খেলতে পারলে সমর্থকদের কথা শুনতে হবে। তাই আমরাও ভাল খেলার চেষ্টা করতাম সর্বোচ্চটা দিয়ে। এখন মোহামেডান আবাহনীর খেলায় সমর্থক হয় হাতে গোনা। * কেন এমন হলো? দেখেন আগে মিডিয়া ছিল কম। দল বলতে আবাহনী আর আবাহনী। দুই দলই ভাল দল গড়ত। এখন খেলোয়াড়দের পারশ্রমিক বেড়ে গেছে কিন্তু সেই মানের খেলোয়াড় নাই। এখন মিডিয়া অনেক আপনি চ্যানেল ঘুরালেই বিভিন্ন দেশের লীগের জমজমাট খেলা দেখতে পাচ্ছেন। তারা কাদের খেলা দেখতে মাঠে আসবে বলেন। * তাহলে কি ধরে নেব দেশের ফুটবল আর জেগে উঠবে না? দেশের ফুটবল হয় তো জেগে উঠবে কিন্তু মোহামেডান-আবাহনীর সেই রমরমা ভাব আর আসবে কিনা আমি সন্দিহান। * দেশের ফুটবলকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যেতে পারে। দেখেন চেষ্টা সবার আছে। কিন্তু সাধ্য থাকতে হবে। তাছাড়া এখনকার খেলোয়াড়রা পরিশ্রম করতে চায় না। বিশেষ করে একজন খেলোয়াড়ের যে পরিমাণ পুষ্টি খাবার প্রয়োজন তা তারা পায় না। তারাই বা কিভাবে স্টেমিনা বাড়াবে। শুধু প্র্যাকটিস করলেই হবে না ভাল খাবারেরও প্রয়োজন আছে। আমাদের দেশে কয়টা পরিবার আছে প্রয়োজন অনুযায়ী সে চাহিদা পূরণ করে। আশার বাণী হচ্ছে দেশে এখন কিছুটা হলেও মানুষ ফুটবলে ঝুঁকেছে। প্রয়োজন ঢাকার বাইরে কিছু একাডেমি তৈরি করে সেটার সঠিক দেখভাল করা। এ ক্ষেত্রে দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এবার চারটা জেলায় খেলা হচ্ছে আগামীতে এ সংখ্যা আর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। * দেশের ফুটবল নিয়ে আপনার কোন পরিকল্পনা আছে কি? হ্যাঁ আছে। আট থেকে বারো বছরের বাচ্চাদের জন্য ছোট পরিসরে ফুটবল একাডেমি চালু করব দুয়েক মাসের মধ্যেই। যেটা আমরা পরিচালনা করব সোনালি অতীত থেকে। আগামীতে বড় আকারে করার চিন্তা আছে। আশা করি কিছু ফুটবলার আমরা তৈরি করতে পারব বলে মনে করি। ২০১২ সালে খোরশেদ আলম বাবুলের নাম জাতীয় পুরস্কারের জন্য ঘোষিত হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্লু পেয়েছেন। তাছাড়া ক্রীড়া লেখক সমিতি থেকে ১৯৮৩ সালে এবং সাংবাদিক কর্তৃক বর্ষ সেরা পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৮৭ সালে। বর্তমানে ব্যবসা করেন। বিয়ে করেছেন ১৯৮৪ সালে ফাতেমা আলম শিল্পিকে। তিন মেয়ের জনক খোরশেদ বাবুল। তিন মেয়েই প্রতিষ্ঠিত। বড় মেয়ে সাঞ্জিদা আলম লন্ডনে থাকেন। মেজ মেয়ে তাঞ্জিনা আলম লন্ডনের কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। ছোট মেয়ে আফসানা আলম বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। খোরশেদ আলম সম্পর্কে সাবেক জাতীয় ফুটবলার কায়সার হামিদ বলেন, আমার দেখা অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ছিলেন খোরশেদ। তার স্টেমিনা ছিল অসাধারণ। বাংলাদেশে খেলে যাওয়া সাবেক ফুটবলার এমেকা খুরশিদ বাবুল প্রসঙ্গে বলেন, খুরশিদ বাবুল ছিল এমন একজন খেলোয়াড় যে একটা ম্যাচের ভাগ্য যেকোন সময় বদলে দিতে পারে। তার গতি তার স্টেমিনা অনুকরণীয়।
×