
বিসিবির ম্যারাথন এই সভা চলে সাড়ে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। ছবি: বিসিবি।
২০০৬ সালের পর থেকে ক্রিকেট এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের পুরস্কৃত করার সংস্কৃতিটা হারিয়ে গিয়েছিল। ১৯ বছর পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে বিসিবি আওয়ার্ড নাইট। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে হবে বিপিএল। ব্যবস্থাপনায় শৃ্ঙ্খলা ফেরাতো আয়োজনের সত্ব যেতে পারে বিদেশী কোন ফ্রাঞ্চাইজির হাতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বোর্ড সভা থেকে এমনি একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত এসেছে।
দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও পরিকল্পিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আরো ভালোভাবে এটিকে ফিরিয়ে আনতে চায় বিসিবি। পুরস্কার প্রদানের এই প্রথা আবারও চালু করার পর এর ধারাবাহিকতাও ধরে রাখতে চায় ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ড সভার শেষে এমনটাই জানান বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
আওয়ার্ড নাইট সম্পর্কে বিসিবি সভাপতি জানান, ‘আমরা খেলোয়াড়দের মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি পুরো ইকোসিস্টেমকে সম্মান জানাতে চাই। এই অ্যাওয়ার্ড নাইট হবে নিয়মিত আয়োজন, শুধু একবারের জন্য নয়। এর জন্য ৪-৫ বছরের একটি পরিকল্পনা করছি।’
সোমবার (৩০ জুন) রাতে ম্যারাথন এ মিটিংয়ে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল আগের মতো তিন সদস্যবিশিষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন একজনকে নির্বাচক প্যানেলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
ব্র্যাক আইটি নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করা হবে। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ৫ বছরের চুক্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে একজন ক্রিকেটারের ২৪ ঘণ্টার সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
মাঠ সংকটের সমাধানে পূর্বাচলের ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড ১ ও ২, ফতুল্লার শহীদ রিয়া গোপ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভেতরের ও বাইরের মাঠ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করে খেলার উপযোগী করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সাইমন টফেলকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা পাঁচবারের আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি।
আম্পায়ার্স এডুকেশন প্রোগ্রাম চালানোর জন্য টফেলের পুরো দল আসবে বাংলাদেশে। তার তত্ত্বাবধানে দেশেই ১৫ থেকে ২০ জন আম্পায়ার ট্রেইনার তৈরির লক্ষ্য বিসিবির।
মিরাজ/আফরোজা