মুস্তাফিজুর রহমান
বাংলাদেশের ক্রিকেটে মুস্তাফিজুর রহমানের আগমন ধূমকেতুর মতো। বাঁহাতি পেস বোলিংয়ে কাটারের নবধারা তৈরি করে গোটা বিশ্বের দৃষ্টি কাড়েন তরুণ তুর্কি এ বাঁহাতি পেসার। আইপিএল মাতিয়ে উঠে আসেন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু এখন আর আগের সেই ফিজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বৃষ্টির কারণে প্রথম টি২০ মধ্যপথে ভেস্তে যাওয়ায় বাংলাদেশকে বোলিং করতে হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি।
আন্তর্জাতিক টি২০তে নিজের শেষ ১০ ইনিংসে মাত্র ৫ উইকেট, গড় ৫২.২০! ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৮.১১ করে। আগের সেই ধার আর নেই, মুস্তাফিজকেই যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না?, ‘আপনারা না পেতে পারেন (আগের মুস্তাফিজকে), আমি তো মনে করি... অপারেশনের পর (২০১৬ সালে) এক-দেড় বছর ছন্দে ছিলাম না। এরপর তো আমি মনে করি...!’ গায়ানায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন মুস্তাফিজ।
ডমিনিকায় খরুচে বোলিংয়ের ব্যখ্যা দিতে গিয়ে উইকেটের পার্থক্যের কথা জানিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘এশিয়ান উইকেট একরকম, এশিয়ার বাইরের উইকেটটা বেশি ভাল। ট্রু উইকেট থাকে। আমি চেষ্টা করি আমার বেস্টটা দেয়ার। এশিয়ার মধ্যে দেখবেন অন্য টিমের ১৫০ করতেও কষ্ট হয়। এশিয়ার বাইরে দুইশ রানও সেইফ না। এ কারণে ইকোনমিও বাড়তে পারে, আমার যেটা মনে হয়।’ নিজেকে ফিরে পেতে নতুন পেস বোলিং কোচ এ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে কী কাজ করছেন? জানতে চাইলে মুস্তাফিজ বলেন, ‘সাদা বলে আমি মাত্র দুটি সেশন করেছি, বিশেষ করে টি২০ নিয়ে।
আর ওয়ানডের জন্য কাজ করেছি দক্ষিণ আফ্রিকায়। খুব বেশি দিন এখনও ওনাকে পাইনি। তবে কোচের পরিকল্পনাগুলো খুব ভাল লাগছে।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাত বছর কাটিয়ে দেয়পার পর এখনও শিখছেন তিনি, ‘শেখার তো শেষ নেই। ইমপ্রুভ প্রতিদিন করা যায়। আমি চেষ্টা করছি আরও ইমপ্রুভ করার জন্য। কী করে অন্য ভাল বোলারদের মতো হওয়া যায়। ফিটনেস বলেন, কোচদের পরামর্শ নেয়া বলেন, আমি শিখছি আরও।’
টি২০তে দল হিসেবে বাংলাদেশ কেন ভাল করতে পারছে না, সেই ব্যখ্যাও দিয়েছেন বাঁহাতি এ পেসার, ‘আমাদের মূল সমস্যা মানসিকতায়। অন্য দলের ব্যাটসম্যানরা দেখবেন ৭-৮টা বলে রান না পেলেও আবার ঠিকই ফিরে আসে, আক্রমণ করে। বোলারদের কথা যদি বলেন, দু-একটা বল খারাপ করেও অন্য দেশের বোলাররা দ্রুত ফিরে আসে। আমার মনে হয় আমরা এই জায়গাতে পিছিয়ে। আমরা দ্রুত ভেঙ্গে পড়ি, দ্রুত খারাপ অবস্থা থেকে ফিরতে পারি না’।