ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে অন্তত ৬টি ‘মিনিমুন’, চমকপ্রদ দাবি বিজ্ঞানীদের

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২১ জুলাই ২০২৫

পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে অন্তত ৬টি ‘মিনিমুন’, চমকপ্রদ দাবি বিজ্ঞানীদের

ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর চারপাশে চাঁদের পাশাপাশি আরও কিছু ছোটখাটো চাঁদ বা উপগ্রহ নিয়মিত ঘোরাফেরা করছে—এমনটাই জানালেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যেকোনো সময়ে পৃথিবীর কক্ষপথে অন্তত ছয়টি ‘মিনিমুন’ বা ক্ষুদ্র চাঁদ থাকতে পারে।

‘মিনিমুন’ কী?

‘মিনিমুন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় সেসব ছোট আকৃতির প্রাকৃতিক বস্তু বোঝাতে, যেগুলো পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যকার মহাকর্ষীয় অঞ্চলে কিছু সময়ের জন্য আবদ্ধ থেকে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে। সাধারণত এগুলোর আকার ২ মিটারের (৬.৫ ফুট) কম এবং এগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে চক্র শেষ করার আগে কিছু সময় পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে আবর্তিত হয়।

চাঁদ থেকেই কি এসেছে এই মিনিমুন?

গবেষকরা আগে ধারণা করতেন, এ ধরনের ক্ষুদ্র উপগ্রহের উৎস প্রধানত গ্রহাণুপুঞ্জ। তবে নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, এসব মিনিমুন হয়তো চাঁদেরই অংশবিশেষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এসেছে। ২০২৪ সালে আবিষ্কৃত ‘২০২৪ পিটি৫’ নামে একটি মিনিমুনের গঠন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর উপাদান চাঁদের মতোই।

কেন দেখা পাওয়া কঠিন?

মিনিমুনের আকার খুব ছোট এবং এগুলোর গতি অনেক বেশি হওয়ায় সেগুলো শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো এক ঘণ্টার কম সময়ে কক্ষপথ সম্পন্ন করে ফেলে। তাই দূরত্ব যতই কম হোক না কেন, আকাশে খুব দ্রুত চলতে দেখা যায় এগুলোকে।

গবেষক দলের প্রধান লেখক ও হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রবার্ট জেডিক বলেন, ‘এটা অনেকটা বৃত্ত নাচের মতো—যেখানে নাচের সঙ্গী বারবার বদলায়, কেউ কেউ মাঝেমধ্যে নাচের মঞ্চও ছাড়ে।’

গবেষণার গুরুত্ব কী?

এই ছোট উপগ্রহগুলোর অধ্যয়ন থেকে চাঁদের গঠন, ইতিহাস ও এর গর্ত তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক খনন বা সম্পদ আহরণের দিক থেকেও মিনিমুন হতে পারে সম্ভাবনাময়। গবেষকদের মতে, এই মিনিমুনগুলো সৌরজগতের গঠন ও বিবর্তনের রহস্য উন্মোচনে সহায়ক হতে পারে।

 

সূত্র: এনডিটিভি।

রাকিব

×