ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

স্ট্রবেরি মুন: কী কারণে এটি এত বিশেষ ও বিরল?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ১২ জুন ২০২৫

স্ট্রবেরি মুন: কী কারণে এটি এত বিশেষ ও বিরল?

ছবি: সংগৃহীত

জুনের আকাশে উঠেছে ‘স্ট্রবেরি মুন’—তবে নামের মতো গোলাপি বা লাল নয়। এটি মূলত একটি পূর্ণিমার চাঁদ, যেটি এ বছর আকাশে সবচেয়ে নিচু অবস্থানে দেখা যাচ্ছে। এই ব্যতিক্রমী ঘটনাটি আবার ঘটবে ২০৪৩ সালে। কেন এমন হচ্ছে? এর পেছনে রয়েছে এক বিরল জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা_ মেজর লুনার স্ট্যান্ডস্টিল, যা প্রতি ১৮.৬ বছর অন্তর ঘটে।

এই সময় চাঁদকে আকাশে খুব নিচে দেখা যায়। ফলে চাঁদকে স্বাভাবিকের তুলনায় বড় দেখায়—এটিকে বলা হয় Moon Illusion। এটি চাঁদের দৃষ্টিভ্রান্তিজনিত একটি দৃশ্য, যেখানে চাঁদ আমাদের চোখে বিশাল মনে হয়।

যদিও নাম ‘স্ট্রবেরি মুন’, চাঁদটি লাল বা গোলাপি হবে না। বরং যখন চাঁদ দিগন্তের কাছাকাছি থাকে, তখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আলো ছড়িয়ে পড়ে কিছুটা লালচে ভাব দেখা দেয়।

যুক্তরাজ্যের ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. জেনিফার ওয়েক্সলার বলছেন, এই বছর আমরা এমন একটি চাঁদ দেখতে পাচ্ছি যেটি আকাশে খুব নিচু জায়গায় উঠছে। এর পেছনে রয়েছে এক বিরল জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনা, যার নাম মেজর লুনার স্ট্যান্ডস্টিল।

এই ঘটনাটি প্রতি ১৮ বছর ৭ মাস (মানে প্রায় ১৮.৬ বছর) পরপর ঘটে। এই সময় চাঁদের ওঠা এবং অস্ত যাওয়ার জায়গাগুলো আকাশে সবচেয়ে বেশি উত্তর ও দক্ষিণ দিকে সরে যায়। ফলে এক মাসের মধ্যেই চাঁদের উদয় এবং অস্তের দিকগুলো অনেক বেশি পরিবর্তিত হয়। 

এই বিশেষ সময়ে চাঁদের গতি এমনভাবে হয় যে, কখনো এটি অনেক উঁচুতে ওঠে, আবার কখনো অনেক নিচুতে থাকে। ২০২৫ সালেই এই ঘটনাটির সর্বোচ্চ সময়কাল চলছে, তাই এই বছরের 'স্ট্রবেরি মুন' এত নিচুতে দেখা যাচ্ছে। এমন দৃশ্য আবার দেখা যাবে ২০৪৩ সালে। অর্থাৎ, এটি একেবারেই বিরল একটি ঘটনা।

‘স্ট্রবেরি মুন’ নাম কেন?
এই নাম এসেছে উত্তর আমেরিকার আলগনকুইন উপজাতিদের কাছ থেকে। তারা জুন মাসে স্ট্রবেরি ফসল কাটার সময় এই পূর্ণিমার চাঁদ দেখত, তাই এই নাম। ইউরোপে এটিকে ‘রোজ মুন’ নামেও ডাকা হয়। নামগুলো আসলে ঋতু ও প্রকৃতির পরিবর্তনের প্রতিফলন, চাঁদের রঙের নয়।

১০ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত তিন দিন ধরে রাতের আকাশে এই চাঁদ দেখা যাবে। যারা রাতের আকাশে সৌন্দর্য খুঁজে পান, তাদের জন্য এটা এক দারুণ মুহূর্ত।

মুমু ২

আরো পড়ুন  

×