
ছবিঃ সংগৃহীত
মশা প্রাণনাশক বহু রোগের বাহক। ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ দিন দিন মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেকে মশারোধক কয়েল ও ক্রিম ব্যবহার করলেও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান এখনো অদৃশ্য।
মশা নিয়ন্ত্রণে এবার নতুন উদ্ভাবনে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল। তারা তৈরি করেছেন একটি বিশেষ ফাঁদ (Trap), যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে রোগবাহক পোকামাকড়কে দ্রুত শনাক্ত করতে পারে।
এই ফাঁদে রয়েছে একটি আকর্ষণীয় পদার্থ যা মশাকে প্রলুব্ধ করে। মশা সেটির সঙ্গে সংস্পর্শে এলে একটি স্টিকি প্যাডে আটকে যায়। এরপর সুপ্ত অবস্থায় থাকা ক্যামেরা ছবি তোলে এবং সেই ছবি প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত হয় বিশেষ অ্যালগরিদম। এই এআই অ্যালগরিদম মশার প্রজাতি ও তার শারীরিক বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করতে সক্ষম।
গবেষকদের দাবি, ডিভাইসটি ১৫০ মার্কিন ডলারের কম খরচে তৈরি করা সম্ভব এবং এটি রোগপ্রতিরোধে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।
এছাড়া, মশার সংখ্যা কমাতে এবং রোগ সংক্রমণ রোধে ক্রিসপার (CRISPR)-এর মতো জিন প্রযুক্তিও বিশ্লেষণ করছেন বিজ্ঞানীরা।
এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি অনুসরণ করে মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিচ্ছে ফিলিপিন। সম্প্রতি ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত অষ্টম ডেঙ্গু সামিটে প্রযুক্তিটির ব্যবহার নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গু জ্বর শরীরে তীব্র ব্যথা ও খিঁচুনির জন্য ‘হাড়ভাঙা জ্বর’ নামেও পরিচিত। ডেঙ্গুর প্রধান বাহক নির্দিষ্ট একটি মশা—এডিস ইজিপ্টাই। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর, বর্ষাকালে, এডিস মশার বিস্তার ঘটে। ঘনবসতি, জলবায়ু পরিবর্তন, দীর্ঘ বর্ষা ও উষ্ণ তাপমাত্রা মশার বংশবৃদ্ধির প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, ফলে দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
ইমরান