যে ৭টি গোপন কারণে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত ’ডাউন’ হয়ে যাচ্ছে!

সকালে ফোন ফুল চার্জ দিয়েও বিকেলের আগেই ব্যাটারির বারোটা বাজছে? অথচ স্মার্টফোনটি নতুন, ব্যাটারিও ছিল একেবারে ফিট। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জন্য দায়ী আমাদেরই কিছু অবচেতন অভ্যাস, যেগুলো না জানার কারণেই ব্যাটারির আয়ু দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। নিচে তুলে ধরা হলো এমন সাতটি কারণ এবং প্রতিকারের সহজ উপায়—

১. সর্বোচ্চ স্ক্রিন ব্রাইটনেস

অনেকে সবসময় স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে রাখেন, যা ব্যাটারির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে।

সমাধান:
স্ক্রিনে ‘Auto Brightness’ চালু করুন অথবা ম্যানুয়ালি ব্রাইটনেস কমিয়ে ব্যবহার করুন।

২. ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপস চালু থাকা

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল বন্ধ করলেও সেগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড কার্যক্রম ব্যাটারি খরচ করে।

সমাধান:
Settings > Battery > Background activity বা App management-এ গিয়ে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ নিষ্ক্রিয় করুন।

৩. GPS, Bluetooth ও মোবাইল ডেটা চালু রাখা

এই ফিচারগুলো সারাক্ষণ চালু থাকলে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়, এমনকি ব্যবহার না করলেও।

সমাধান:
ব্যবহার না করলে এগুলো বন্ধ রাখুন। Google Location History বন্ধ করাও হতে পারে কার্যকরী পদক্ষেপ।

৪. অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন

প্রতিটি নোটিফিকেশন ফোনকে ‘জাগিয়ে’ তোলে, বাড়ায় ব্যাটারি খরচ।

সমাধান:
Settings > Notifications-এ গিয়ে যেসব অ্যাপের নোটিফিকেশন প্রয়োজন নেই, সেগুলো বন্ধ করুন।

৫. দুর্বল সিগন্যাল

নেটওয়ার্ক দুর্বল হলে ফোন বারবার সিগন্যাল খোঁজে, এতে দ্রুত ফুরায় চার্জ।

সমাধান:
ভালো নেটওয়ার্ক বেছে নিন। খুব খারাপ সিগন্যালের সময় Airplane Mode চালু রাখুন।

৬. লাইভ ওয়ালপেপার ও অ্যানিমেশন

চলমান ব্যাকগ্রাউন্ড বা থিম ফোনকে আকর্ষণীয় করলেও ব্যাটারি খরচ বাড়ায়।

সমাধান:
সাধারণ বা ডার্ক স্ট্যাটিক ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন।

৭. ভুল চার্জিং অভ্যাস

সারারাত চার্জে রাখা বা বারবার চার্জে লাগানো ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয়।

সমাধান:
চার্জ ২০%–৮০% এর মধ্যে রাখুন। Fast Charging অপশন প্রয়োজন না হলে বন্ধ করুন এবং মূল চার্জার ব্যবহার করুন।

অতিরিক্ত টিপস:

• Power Saving Mode অন রাখুন

• সফটওয়্যার আপডেট করলে ব্যাটারি পারফরম্যান্স উন্নত হয়

• দীর্ঘক্ষণ গেম বা ভিডিও চালিয়ে ফোন গরম করা থেকে বিরত থাকুন

মুল কথা:
ব্যাটারির দ্রুত ক্ষয়ের জন্য ফোন নয়, দায়ী আমাদের কিছু অসচেতন অভ্যাস। একটু সতর্ক হলেই স্মার্টফোনের ব্যাটারি ১ নয়, ২–৩ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে।