ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিমান ভ্রমণের যুগ শেষ? মাস্ক আনলেন ২৫ বিলিয়ন ডলারের নতুন প্রযুক্তি

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ২৪ মে ২০২৫

বিমান ভ্রমণের যুগ শেষ? মাস্ক আনলেন ২৫ বিলিয়ন ডলারের নতুন প্রযুক্তি

ছবি:সংগৃহীত

আমেরিকায় বায়ু পরিবহনকে বিদায় জানানোর সময় এসে গেছে,  এমনটাই মনে করছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক। তাঁর বিপ্লবী পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটি থেকে লন্ডন পর্যন্ত যাত্রা সময় কমে যাবে ৭ ঘণ্টা ১৫ মিনিট থেকে মাত্র ৫৪ মিনিটে, যদি তাঁর প্রস্তাবিত গিগা স্ট্রাকচার বাস্তব রূপ পায়। তবে এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান প্রযুক্তিকে আরও উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে।

 

মেগা স্ট্রাকচারের ধারণা:
এলন মাস্কের সাম্প্রতিক ঘোষণাটি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। তিনি অতীতেও এমন অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছেন, যেগুলোর বাস্তবায়ন নানা জটিলতার সম্মুখীন হয়েছে। এবার তিনি এমন একটি ধারণা সামনে এনেছেন, যা মানব সভ্যতার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন,  আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে একটি সুপারসনিক টানেল, যার মাধ্যমে মাত্র এক ঘণ্টারও কম সময়ে ৩,০০০ মাইল অতিক্রম করা সম্ভব হবে।

 


এই টানেলের জন্য প্রয়োজন এমন একটি ভ্যাকুয়াম প্রযুক্তি, যা টানেলের ভেতর বাতাস সরিয়ে দিয়ে চাপযুক্ত যানবাহনকে দুঃসাহসিক গতিতে যাতায়াতের সুযোগ করে দেবে। ২০১৩ সালে এলন মাস্ক প্রথম এই প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন একটি হোয়াইট পেপারে। এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিযোগিতা এবং টানেলিং প্রযুক্তিতে গবেষণার জন্য ‘দ্য বোরিং কোম্পানি’ প্রতিষ্ঠা করেন।


মাস্কের দাবি অনুযায়ী, ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করলেই এই প্রযুক্তিকে বাস্তবায়ন করে আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে যাতায়াত পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। প্রস্তাবিত কাঠামোতে থাকবে মহাসাগরের তলদেশে ডুবে থাকা এবং জলে ভেসে থাকা টানেল, যেগুলো কেবল দিয়ে নোঙর করে রাখা হবে।


তবে অনেকেই মনে করছেন, এটি মাস্কের আরেকটি কল্পনাপ্রসূত ও অসম্ভব স্বপ্ন। তার অন্যান্য প্রকল্পের মতোই এটি প্রযুক্তিগত ও বাস্তবায়নগত সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে পারে। পরিবেশগত দিক থেকেও এই প্রকল্পে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন, যা বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে।


যদিও এলন মাস্কের বহু প্রকল্প এখনও বাস্তবায়ন হয়নি বা মাঝপথে থেমে গেছে, তবে এ ধরনের উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ সমাজে সম্ভাব্য রূপান্তরের ইঙ্গিত দেয়। যদি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, নিউইয়র্ক সিটি হতে পারে জলতল পরিবহনের বৈশ্বিক কেন্দ্র। তবে এটি নির্ভর করছে প্রযুক্তির বিকাশ এবং একটি কার্যকর বাস্তবায়ন পরিকল্পনার ওপর।

আঁখি

×