ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে কোরআন ও হাদিসে কী আছে?

প্রকাশিত: ০২:০১, ৮ এপ্রিল ২০২৫

ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে কোরআন ও হাদিসে কী আছে?

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ। হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হচ্ছেন, ধ্বংস হচ্ছে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। মুসলিম বিশ্ব এ যুদ্ধকে দেখছে এক গভীর মানবিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। এমতাবস্থায় অনেকেই জানতে চাইছেন—ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে ইসলাম কী বলে? কোরআন ও হাদিসে এই বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা রয়েছে কি?

কোরআনে বনী ইসরাইল প্রসঙ্গ পবিত্র কোরআনে "বনী ইসরাইল" নামটি বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে একসময় নবী-রাসূল দান করেছিলেন, কিন্তু তাদের অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘনের কারণে তাদের প্রতি আল্লাহর গজব নেমেছিল।

আল্লাহ তাআলা বলেন— “তোমরা যখন প্রথমবার সীমালঙ্ঘন করেছিলে, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে আমার শক্তিশালী বান্দাদেরকে পাঠিয়েছিলাম, যারা ঘরে-ঘরে প্রবেশ করেছিল। এটা ছিল এক প্রতিশ্রুত শাস্তি।” (সূরা বনী ইসরাইল: ৫)

এই আয়াত ইসরাইলিদের পূর্বের সীমালঙ্ঘন ও তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত শাস্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

মজলুমদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা ইসলামে জুলুম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসেবে গণ্য হয়। কোরআনে বলা হয়েছে— “আর তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করো না, অথচ নির্যাতিত পুরুষ, নারী ও শিশু বলছে— হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের এই জালিম সম্প্রদায়ের হাত থেকে মুক্ত করো।” (সূরা নিসা: ৭৫)

এই আয়াত স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়, নিপীড়িতদের পক্ষে দাঁড়ানো এবং জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ইসলামসম্মত।

হাদিসে ফিলিস্তিন ও বাইতুল মুকাদ্দাস হাদিসে বায়তুল মুকাদ্দাস বা আল-আকসা মসজিদের মর্যাদা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন— “তিনটি মসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা বৈধ— মসজিদে হারাম, আমার এই মসজিদ (মসজিদে নববী), এবং মসজিদে আকসা।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১১৮৯)

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, আল-আকসা মুসলমানদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয় স্থান।

যুদ্ধ ও শান্তির আদর্শ ইসলাম কখনো অন্যায় যুদ্ধ বা আগ্রাসনকে সমর্থন করে না। বরং আত্মরক্ষার্থে, নির্যাতিতদের রক্ষার্থে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুদ্ধকে অনুমোদন দেয়। ইসলাম সব সময় ন্যায়ের পক্ষে ও জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বলে।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ কেবল একটি সংঘাত নয়, এটি একটি মানবিক ও ধর্মীয় ইস্যুও। কোরআন ও হাদিস আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং নির্যাতিতদের পাশে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে। এই যুদ্ধের সমাধান শান্তি ও ন্যায়ের ভিত্তিতে হওয়াই কাম্য।

আসিফ

×

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার