ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

ক্যাম্পাস

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সূতিকাগার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সূতিকাগার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে একটি ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটেছে। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই ধীরে ধীরে জনসম্পৃক্ততা হারাতে শুরু করে বিগত সরকার। একসময় এটি জনবিস্ফোরণে রূপান্তরিত হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সেই জনবিস্ফোরণ যা দেশের জনগণকে পূর্ণ স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শাসনামলে নানা আন্দোলন ও প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর সরকার নানা প্রচেষ্টায় দমাতে সক্ষম হলেও, কোটা নিয়ে চলমান বৈষম্য দেশের তরুণদের একত্রিত করে, সারা দেশে গণজোয়ার তৈরি করে এবং একটা সময়ের পর গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয়। ২০২৪ এর জুলাইয়ের আন্দোলনটি শুরু হয় কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে। পরবর্তীতে এটি ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয় এবং তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটায়। এটি যেমন আওয়ামী লীগের গত ১৬ বছরের অপশাসনের ফলাফল বয়ে এনেছে, একইসঙ্গে দেশে নতুন গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা সৃষ্টি করেছে এবং জনগণকে নতুন সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তনে একাত্ম করেছে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের পুরোপুরি বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আন্দোলনে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বন্ধ করতে সিট বাতিলের হুমকি, গেস্টরুমগুলোতো মানসিক ও শারীরিক লাঞ্ছনা, দলীয় প্রোগ্রামগুলোতে দীর্ঘ সময় আটকে রাখাসহ নানান প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আন্দোলন চলাকালে হলের মূল ফটক বন্ধ রাখার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ছাত্রলীগের এই ধরনের আগ্রাসন ও নিপীড়ন শিক্ষার্থীদের আরো অনেক বেশি সংগঠিত করেছে ও আওয়াজ উঠাতে সাহায্য করেছে। ১৪ জুলাই, চীন ফেরত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বিতর্কিত মন্তব্য করেন এবং শিক্ষার্থীদের রাজাকারদের সাথে তুলনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সেদিন রাতেই এই ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানায়। বিশেষত রোকেয়া হলের মেয়েরা সর্বপ্রথম জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্যে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানায়।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়