
চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করায় রাজশাহীর এক আবাসন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিএনপি। রবিবার নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে ‘বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন, রাজশাহী মহানগর’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন থেকে ওই ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী শাহীন আখতার রেনীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে তিনি মিথ্যা মামলা করেছেন। বক্তারা বলেন, অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট। তিনি বলেন, পুলিশ-প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও প্রতারকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখনও তাদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা নিচ্ছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত থাকবেন, তাদের বিচার আমরা এই বাংলার মাটিতেই করব।
বক্তারা আরও বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান একজন প্রতারক ও জালিয়াতচক্রের হোতা। আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের আর্থিক পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ফ্ল্যাট বিক্রির নামে বহু গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করেও ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেননি। আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং এখনও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম রবি, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) বিএনপির সভাপতি শামসুল হোসেন মিলু, ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক লিমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সৈকত পারভেজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এতে রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানি সুমন, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম মিলু এবং রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব এমদাদুল হক লিমনসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
সানজানা