ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

ভুক্তভোগীর মতামত ছাড়া ব্যাক্তিগত অপরাধ রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করতে পারবেন না: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

প্রকাশিত: ২১:২১, ৩ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২১:২২, ৩ জুলাই ২০২৫

ভুক্তভোগীর মতামত ছাড়া ব্যাক্তিগত অপরাধ রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করতে পারবেন না: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

ছবি: সংগৃহীত

ব্যক্তিগত অপরাধের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার সিদ্ধান্তে ভুক্তভোগী পরিবারের সম্মতি থাকা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

 

 

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক আলোচনায় তিনি বলেন, কেউ যদি ব্যক্তিগত শত্রুতার বশে কারও পিতাকে হত্যা করে এবং সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষে যদি আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়, তাহলে সেই রায় ক্ষমা করতে রাষ্ট্রপতি বা কমিটি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী পরিবারের সম্মতি আবশ্যক হওয়া উচিত বলে মত দেন তিনি।

তাহের বলেন, “একজনের পিতা খুন হলে আরেকজনের তো মাফ করার অধিকার নেই। তাই ভুক্তভোগীর সম্মতি ছাড়া ক্ষমা হওয়া উচিত নয়। তবে কেউ যদি সময়ের প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ বা আর্থিক সমঝোতার মাধ্যমে ক্ষমা করতে চান, তাহলে সে সুযোগ রাখা যেতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, ক্ষমার সুযোগ নিয়ে যেন কোনো দুর্বৃত্ত বা চিহ্নিত খুনি ছাড়া না পায়, সে জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা দরকার। এ বিষয়ে কমিশনের প্রধান ইতোমধ্যে একটি সুপারিশ কমিটি গঠন করেছেন, যারা নির্দিষ্ট কিছু *ক্রাইটেরিয়া* অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার সুপারিশ করবে।

জামায়াত নেতার ভাষ্য অনুযায়ী, এই প্রস্তাবটি একটি “নতুন মাত্রা” এবং “ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”

 

আলোচনায় বিচার ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়েও গুরুত্ব দিয়ে কথা বলেন ডা. তাহের। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে প্রায় ২০ কোটি মানুষ। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রাজধানীতে এসে বিচার পাওয়া বেশ কঠিন। থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, অপেক্ষা—সবই ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তাই সময়ের দাবি ও সাধারণ মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিচার ব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি জানান, হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে, তবে এখনো এই বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি। জামায়াতে ইসলামী লিখিতভাবে প্রস্তাব দিয়েছে যাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন করে বিচারপ্রার্থী মানুষের কষ্ট লাঘব করা যায়।

ডা. তাহের বলেন, “মানুষ চায় সহজে, দ্রুত ও খরচ সাশ্রয়ী বিচার। বিচারব্যবস্থা যত কাছাকাছি আসবে, মানুষের আস্থা তত বাড়বে।”

 

ছামিয়া

×