
ছবি: জনকণ্ঠ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূইয়া বলেছেন, “আমার লক্ষ্য শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়া নয়—অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।” বুধবার (২ জুলাই) কসবায় আড়াইবাড়ি দরবার শরিফে পীর সাহেবের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে গণসংযোগ কার্যক্রমের সূচনা করেন।
পরে তিনি কসবা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠ থেকে এক শোভাযাত্রা ও পথসভায় অংশ নেন। বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক ফুল দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান এবং গণসংযোগ কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ধানের শীষের পক্ষে আসা মিছিল সমাবেশে প্রাণবন্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
পথসভায় কবীর আহমেদ ভূইয়া বলেন, “দলীয় মনোনয়ন ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আশায় আমি মাঠে নেমেছি। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপি একটি আদর্শিক দল—এখানে নেতাকর্মীদের মতামত, ত্যাগ ও দলীয় সিদ্ধান্তই মুখ্য। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা বিনীতভাবে মেনে নেব।”
তিনি আরও বলেন, “এই এলাকার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন ও প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে বঞ্চিত। জাতীয়তাবাদী চেতনার ভিত্তিতে আমি জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পেলে এলাকার স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়নে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনব।”
প্রচারণা সভায় সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফখরউদ্দিন আহাম্মদ খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, সহপ্রকাশনা সম্পাদক ইকলিল আযম, জেলা বিএনপি'র সদস্য ও সদ্য সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এম.এ. মান্নান ও আইয়ুম খান, কসবা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট ইসমত আরা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার পিতা ও সমাজসেবক আলহাজ্ব ফজলুর রহমান ভূঁইয়া। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, কসবা-আখাউড়া অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী শক্তির দীর্ঘদিনের শক্তিশালী ভিত্তি রয়েছে। জনগণ পরিবর্তনের আশায় আছে। তারা এমন একজন প্রার্থীকে চায়, যিনি জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। কবীর আহমেদ ভূইয়া সেই প্রত্যাশার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
তারা বলেন, কবীর আহমেদ ভূইয়ার গণসংযোগের মাধ্যমে কসবা-আখাউড়া আসনের জনসাধারণের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। সাধারণ জনগণ মনে করে কবীর আহমেদ ভূঁইয়া নির্বাচিত হলে আগামী দিনে কসবা আখাউড়া সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের রুল মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতি প্রমাণ করে, বিএনপির তৃণমূল এখন ঐক্যবদ্ধ এবং পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, স্থানীয় জনগণের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে কবীর আহমেদ ভূইয়া যে রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন, তা এ আসনের নির্বাচনী অঙ্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ছামিয়া