ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি নির্বাচনী নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে: জামায়াতে ইসলামী

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ১৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৮:৪৬, ১৪ জুন ২০২৫

ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি নির্বাচনী নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে: জামায়াতে ইসলামী

ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক শেষে দেওয়া যৌথ বিবৃতি নির্বাচনী নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (১৪ জুন) সকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অবস্থান জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি নেতার মধ্যে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পরে যে যৌথ প্রেস ব্রিফিং দেওয়া হয়েছে, তা দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এতে নির্বাচনী নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলেই মনে করছে জামায়াত।

তারা আরও বলেছে, “একটি দলের সঙ্গে একতরফাভাবে বৈঠক করে বিদেশের মাটিতে যৌথ বিবৃতি প্রদান প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এটি রাজনৈতিক ভারসাম্যের লঙ্ঘন এবং বিশেষ পক্ষপাতের ইঙ্গিত দেয়।”

জামায়াতের মতে, দেশে ফিরে এসে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে অবস্থান ব্যাখ্যা করা অধিক যুক্তিযুক্ত হতো। এমন আচরণ আগামী জাতীয় নির্বাচনের অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ ও শঙ্কা তৈরি করছে।

তারা আরও উদাহরণ দিয়ে জানায়, গত ১৬ এপ্রিল জামায়াতের আমির একটি বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেও, সেখানে কোনো যৌথ বিবৃতি বা প্রেস ব্রিফিং করা হয়নি। সেটিকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক আচরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশে যেহেতু একাধিক রাজনৈতিক দল সক্রিয়, তাই শুধু একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

পরিশেষে, জামায়াত আশা প্রকাশ করে যে, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবে এবং রাজনৈতিক সংস্কার ও বিচারব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নিরপেক্ষতা বিষয়ে পরিষ্কার ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যারও দাবি জানায় দলটি।

ইমরান

×