ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় তারা হতাশ। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাননি এবং এখনো চান না। তবে ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে।
গত ২৪ মে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর বিএনপি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়। দলটির দাবি, আলোচনায় তারা নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া একই সঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পরদিন যে বক্তব্য প্রকাশ করা হয় তা ছিল “অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর”। তারা মনে করে, সরকারের নিরপেক্ষতার অভাব এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
বিএনপি আরও অভিযোগ করেছে, সরকারের পক্ষ থেকে "পরাজিত শক্তি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র" নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেটি বাস্তবতা থেকে বিচ্যুত। বিএনপির মতে, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই এসব ষড়যন্ত্রের জবাব হতে পারে।
দলটি বলেছে, “দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ একযোগে এগিয়ে নিতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। সরকারের পক্ষ থেকে যেসব কর্মকাণ্ড ঐক্য বিনষ্ট করে এবং জনআস্থার ঘাটতি তৈরি করে, তা নিরুৎসাহিত ও প্রতিরোধ করার অঙ্গীকার আমরা করে আসছি।”
বিএনপি অভিযোগ করেছে, ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে আদালতের রায় অনুযায়ী গেজেট প্রকাশিত হলেও ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা এখনও গ্রহণ করেনি সরকার। দলটি এই বিলম্বের দ্রুত অবসান চায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি আবারও জোর দিয়ে বলেছে, “ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অবিলম্বে একটি রোডম্যাপ ঘোষণাই এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় সরকারের প্রতি সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।”
বিএনপি আশা প্রকাশ করেছে, সরকার জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সর্বদলীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এবং আইনশৃঙ্খলা, দ্রব্যমূল্য ও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখবে।
আসিফ
