ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আন্দোলনের বিকল্প পথ

উপেন্দ্র নাথ রায়

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ২৮ মে ২০২৫

আন্দোলনের বিকল্প পথ

আপনার কাছে আমার এই উচ্চারণ যদিও কর্কশ শোনায়, কিন্তু এর পিছনে হাজারটা যুক্তি দাঁড় করানোর সামর্থ্য আমার আছে। শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর সকল প্রান্তের দাবি আদায়কারীদের বক্তব্য ঠিক এমনটাই হবে। দাবি যৌক্তিক, আবার সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্যতাও যৌক্তিক। তবু কোটি জনতার মেগাসিটি রাজধানী শহর ঢাকার জনজীবনে যেন দুর্ভোগ কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ অতি আবশ্যক। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে রাষ্ট্রে বসবাসরত সুধীজন, সুনাগরিকদের নিকট পরামর্শ আহ্বান করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
দেশের পেশাজীবী সংগঠনগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের বৈঠক, আলোচনা, সেমিনারের মাধ্যমে দাবি আদায়ের বিকল্প কোনো পন্থা অবলম্বন করা যায় কিনা ভাবা উচিত। সম্পদের অপ্রতুলতা সত্ত্বেও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে নাগরিকদের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর দায়িত্ব রাষ্ট্র পক্ষের। যখনই এর ব্যত্যয় ঘটে রাজপথে শুরু হয় আন্দোলন। দাবি আদায়কারী এবং রাষ্ট্রপক্ষের সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষ এসে উসকানি দিয়ে ঘটনা নেওয়া হয় ভিন্ন খাতে।
আমাদের রক্তে আন্দোলন মিশে আছে, তাই দাবি আদায়ের একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে আমরা আন্দোলনের বিকল্প আর অন্য কিছু দেখি না। নগরবাসীর ভোগান্তি বাড়ল না কমল ঠিক সেই সময়টাতে আমরা পাত্তা দেই না।অন্যদিকে আমাদের রাষ্ট্রপক্ষ বহু বছরের জিম্মিদশায় আটকে গেছে সচিবালয়ে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে সুষম বণ্টনের অভাবে জনমনে ক্রমশ আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ও দায়িত্ববান হওয়ার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের পাশে থাকাও রাষ্ট্রের কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত।
প্রাত্যহিক জীবনে নানান ধরনের সমস্যা যেমন রয়েছে তেমনি তার সমাধানও অবশ্যই রয়েছে। প্রত্যেক নাগরিকের অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা যেমন দরকার, ঠিক ততখানি কর্তব্য পালনের প্রতি সচেতনতায় একটি যানজটমুক্ত নগরী গঠন সম্ভব। আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত অধিকার ও কর্তব্য একে অপরের পরিপূরক।

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর থেকে

প্যানেল

×