ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আন্দোলনের ভালোমন্দ

এস এ বিপ্লব

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ২৮ মে ২০২৫

আন্দোলনের ভালোমন্দ

ঢাকাকে যুগে যুগে বিভিন্ন নামে উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। হোক সে নামগুলো ভালো বা মন্দ। যেমন- ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর। আবার ঢাকাকে বলা হয়েছে দালান-কোঠার রাজধানী। কিংবা আবার কেউ বলেছে জ্যামের শহর। কিংবা মতান্তরে অনেকে আবার মন্দের দৃষ্টিতে এই শহরকে নোংরা শহর উপাধিতে ভূষিত করেছেন। আর বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এই শহরকে বলা হচ্ছে আন্দোলনের শহর। এখন এমন এক পর্যায়ে ঢাকা পৌঁছেছে যে, কিছু হলেই যে কেউ বা যে কোনো দল বা সংগঠন আন্দোলনে নেমে যায়। আবার মানুষগুলো জানি কেমন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। কেউ কাউকে কিছু বলে লাভের চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে হঠাৎ মানুষের ভেতরে কেন এ আন্দোলন প্রবেশ করল। কেনই-বা কথায় কথায় কিছু হলেই মানুষ আন্দোলনে নেমে যায়? সেটাও আবার রাজধানী এবং এর আশপাশের শহরগুলোতে। তবে এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, কিছু আন্দোলন হয় উসকানিমূলক কথার কারণে। আবার কিছু হয় টাকাতে, কিছু বা বয়সের কারণে, আর কিছু আন্দোলন হয় গরিব মারতে। তবে যে আন্দোলন হোক না কেন যারা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মাঠে নামে তাদের দাবি-দাওয়া কিন্তু মিথ্যা না। অর্থাৎ যারা আন্দোলন করে তাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ হওয়ার জন্যই করে। যেমন- গার্মেন্টসের শ্রমিকরা, এটা একদম সত্যি। এক বিন্দু মিথ্যা নয়। কাজগুলো সঠিকভাবে কিংবা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী করলে আন্দোলন কখনো হবে না। অর্থাৎ এ সমাজের প্রতিটি খাত সমস্যায় জর্জরিত, কিন্তু সমাজের এ সমস্যাগুলো মাথাওয়ালা মানুষের চোখে পড়ে না। আবার বড় বড় লোক যারা আছে তারা এ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারছে না। কিন্তু এ সমস্যাগুলো কারও না কারও চোখে কোনো এক সময় এসে ধরা পড়ছে। ফলে তারা কোনো কথা বা আলোচনা বা কোনো নোটিস না দিয়েই আন্দোলনে মাঠে নামছে। বহু ছাত্র আন্দোলনে অর্থ, সময় ব্যয় করে নিজেদের জীবন শেষ করে দিচ্ছে। আন্দোলন যখন মাঝ পথে কঠোর হয় তখন কত রোগী অ্যাম্বুলেন্সে বাঁচার জন্য আকুতি করছে। দেখা যায় যারা দিনমজুর আর ড্রাইভার তাদের দিনের উপার্জন এক আন্দোলনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ থেকে

প্যানেল

×