ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

১৮ জুলাই ২০২৪

রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয় - আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ১৮ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৬:৫৪, ১৮ জুলাই ২০২৫

রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয় - আসিফ মাহমুদ

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি একজন বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও আন্দোলনকর্মী হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত। ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

আসিফ ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। এই প্ল্যাটফর্ম থেকেই তিনি ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে অসহযোগ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শিক্ষার্থী হত্যা এবং আন্দোলনকারীদের উপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি ও তার সংগঠন।

আন্দোলনের সময় রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের শিকার হন আসিফ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়। তবে তিনি দৃঢ়তা হারাননি। আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে একাধিকবার জীবনের ঝুঁকিও নিতে হয়েছে তাকে।

এর আগেও, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে আসিফ সক্রিয় ছিলেন এবং পরে তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে যুক্ত হন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও বহুবার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

২০২৪ সালে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে জাতীয় রাজনীতিতে দৃশ্যমান হন আসিফ মাহমুদ। শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামা আন্দোলনগুলোতে তিনি ছিলেন অন্যতম কণ্ঠস্বর। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা রাখেন তিনি।

জুলাইয়ের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্দোলনের গতি নতুন মাত্রা পায়। সারাদেশের শিক্ষার্থীরা সংগঠিত হতে শুরু করে। ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হামলার পর ১৬ জুলাই আরও বৃহৎ পরিসরে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে। ওইদিনই রংপুরে আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী পুলিশ গুলিতে নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা আন্দোলনে নতুন উত্তেজনা যোগ করে।

১৬ জুলাইয়ের মিটিংয়েই ঘোষণা আসে—“রক্ত মাড়িয়ে কোনো সংলাপ নয়।”
ছাত্ররা কোনো আপোষে না গিয়ে, সংলাপ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যায়। এক রক্তাক্ত অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে দেশ ফিরে পায় নতুন স্বাধীনতা

সানজানা

×