
সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আগামী ৩ জুন সকাল ১০টায় ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস জারি করেছে। সোমবার দুটি জাতীয় দৈনিক (একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
কিছুদিন আগে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ফোনালাপে শেখ হাসিনা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে শাকিল আলমের সঙ্গে গত বছরের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের ঘটনার মামলা নিয়ে কথা বলেন। সেই ফোনালাপে শেখ হাসিনা বিচার কাজে বাধা ও হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। গত ৩০ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটর এই অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।
এ অভিযোগে জানানো হয়, ‘২২৭টি মামলা হয়েছে মানে ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’- শেখ হাসিনার এমন অডিও রেকর্ডের ফরেনসিক প্রমাণ মিলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ২৫ মের মধ্যে শেখ হাসিনা ও বুলবুলকে সশরীরে বা আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা জবাব দাখিল না করায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকতর সুযোগ দেওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনাল সোমবার দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এর ১১ (৪) ধারা এবং ট্রাইব্যুনাল বিধিমালা-২০১০- এর ৪৫ বিধির আওতায় শেখ হাসিনা ও শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নোটিস পাঠানো হলেও তারা পূর্ব নির্ধারিত তারিখে হাজির হননি এবং কোনো লিখিত জবাবও দেননি। এই প্রেক্ষাপটে আত্মপক্ষ সমর্থনের আরও একটি সুযোগ দিয়ে ট্রাইব্যুনাল আগামী ৩ জুন সকাল ১০টায় তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে বক্তব্য পেশের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ে তারা হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম চলবে বলে জানানো হয়েছে।
ফরেনসিক পরীক্ষায় এটি শেখ হাসিনার কণ্ঠ বলে প্রমাণিত হওয়ার পর আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষের শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আদালতের তিন সদস্যের প্যানেলের নেতৃত্ব দেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার।