
ছবিঃ সংগৃহীত
এক বছর বন্ধ থাকার পর আবারো মালয়েশিয়া শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি। বিকেলে পুত্রজায়ে দেশটির মানবসম্পদ উন্নয়ন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বৈঠকে জানানো হয়, গত বছর আটকে পড়া শ্রমিকদের ধাপে ধাপে এবং পরবর্তীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরও বাংলাদেশী শ্রমিক নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে জনশক্তি রপ্তানি প্রক্রিয়া নানা জটিলতার কারণে প্রায় সময়ই বাধার সম্মুখীন হয়। তবে এই প্রক্রিয়া দ্রুত চালু করতে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দুদেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে কুয়ালালামপুরে।
উভয় পক্ষের সফল আলোচনা শেষে জানানো হয়, প্রথম ধাপে এক বছর আগে আটকে পড়া ১৭,০০০ বাংলাদেশী শ্রমিকের সুযোগ প্রদান করা হবে। প্রথম ব্যাচ হিসেবে ৭,৯২৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসে দেড় লাখেরও বেশি জনশক্তি প্রয়োজন হবে তাদের।
এ অবস্থায়, মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে। মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের শ্রমিকরা পান না। অন্যান্য দেশগুলোর শ্রমিকরা মাল্টিপল ভিসা পেলেও বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে তা সীমাবদ্ধ থাকে। এই বিষয়ে মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে এবং তারা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশীদের বৈধতার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন না হলেও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া শ্রমবাজারের সমস্যার মূল কারণ হলো, এটি নিয়ন্ত্রণকারীদের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এবং সহযোগিতার অভাব। তাদের মতে, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
মারিয়া