
ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এক দুর্ঘটনার শিকার হন। যদিও তিনি এনসিপির শীর্ষ নেতা নন, অনেকেই তাকে আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করেন। বিষয়টি অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন যমুনা টিভির টক শোতে বলেছেন, “এই ঘটনাকে আমি সেইভাবে দেখি না। যেহেতু তিনি একজন ছাত্রনেতা ছিলেন এবং জুলাই আন্দোলনের প্রধান কয়েকটি মুখের একজন, তাই স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীদের তার প্রতি একটি বিশেষ প্রত্যাশা থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের অনেক উপদেষ্টা থাকলেও আসিফ মাহমুদ, মাহফুজ আলম কিংবা নাহিদ ইসলামের মতো কয়েকজনের সঙ্গে ছাত্রদের আলাদা যোগাযোগ রয়েছে। ফলে সংকটময় পরিস্থিতিতে এসব উপদেষ্টাদের ভূমিকা রাখতে হয়, যদিও তাদের কোনো দপ্তর নেই। এটি এক ধরনের দায়িত্ববোধ থেকেও আসে।”
মনিরা শারমিন জানান, অভ্যুত্থানোত্তর সময়টা নানা টেনশন ও সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে—‘সমাধান এত ধীরগতিতে কেন হচ্ছে?’ এমন প্রশ্নের পেছনেও অতিরিক্ত প্রত্যাশার একটি ছায়া রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“এই ঘটনাটি আসলে ছাত্রদের আবেগ ও প্রত্যাশারই বহিঃপ্রকাশ। আমাদের উপদেষ্টা বিষয়টি নিশ্চয়ই বুঝেছেন। আমি এটিকে ‘অতি প্রত্যাশার প্রতিফলন’ হিসেবেই দেখি,” বলেন এনসিপির এই নেত্রী।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=F-QTYW0qbrk
এএইচএ