
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে পুরো শহর কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্রসংগঠন ইতোমধ্যেই আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে। ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ আরও কয়েকটি সংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও সমর্থন এসেছে।
তবে এখন পর্যন্ত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কোনো সরাসরি অবস্থান নেয়নি। যদিও এনসিপি নেতা সারজিস আলম প্রশ্ন তুলেছেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি আদায়ে এত গড়িমসি কেন?” এই মন্তব্যকে অনেকে এনসিপির পরোক্ষ সমর্থন হিসেবে দেখলেও, সংগঠনটির কোনো শীর্ষ নেতাকে আন্দোলনে দেখা যাচ্ছে না। এতে প্রশ্ন উঠেছে—এনসিপি কি নিরাপত্তার ভয়ে, না কি জনসমর্থনের ঘাটতির কারণে আন্দোলনস্থলে অনুপস্থিত?
এই বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন জানান, “এনসিপি এখন একটি রাজনৈতিক দল। আমাদের প্রথম সারির নেতৃত্বের আরেকটি পরিচয় হলো তারা সবাই জুলাই আন্দোলনের মূল মুখ। সেই জায়গা থেকে তাদের একটি দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে হয়। অনেক সময় তারা সরাসরি আন্দোলনে অংশ না নিলেও, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন।”
তিনি আরও বলেন, “এনসিপি এখন রাজনৈতিক দল হওয়ায় দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগোতে হয়। তবে তারা ব্যক্তিগতভাবে জুলাই আন্দোলনের নেতা হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করে চলেছেন।”
জনসমর্থন প্রসঙ্গে মনিরা শারমিন বলেন, “জনসমর্থন কমেছে বলে আমরা মনে করি না। কিছুদিন আগেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আমাদের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অংশগ্রহণে দেশজুড়ে আন্দোলন হয়েছে। সুতরাং আমাদের জনপ্রিয়তা বা জনগণের সাড়া এখনো শক্ত অবস্থানে রয়েছে।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=_TuVsd14jfA
এএইচএ