ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

একজন নারী অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হওয়ার জন্য এনজিওর কাছে কেন যাবে? : মাহিন সরকার

প্রকাশিত: ২১:০৮, ১৩ মে ২০২৫; আপডেট: ২১:১১, ১৩ মে ২০২৫

একজন নারী অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হওয়ার জন্য এনজিওর কাছে কেন যাবে? : মাহিন সরকার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বক্তব্য বেশ আলোচনায় আছে ইদানিং। নারীদের নিয়ে উনার পর্যালোচনা ঠিক না ভুল সে বিচারে আগেই যাচ্ছি না। উনার বক্তব্যের কিছু খণ্ডাংশ এরকম যে, "বিয়ে কোনো নিরাপত্তার অংশ না। আপনার সিকিউরিটি আপনি রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাবেন।" এরপর উনি নারীর অর্থনৈতিক সিকিউরিটির উদাহরণ দিতে গিয়ে এনজিওকে টেনেছেন। মানে সামগ্রিক বিষয়টাতে পরিবারকে এড়িয়ে গিয়েছেন।

বিয়ে হলো সামাজিক চুক্তির সর্বোচ্চ উদাহরণ। যেই চুক্তির মাধ্যমে ন্যূনতম ভায়োলেন্স ঘটলে সেখানে রাষ্ট্র তার আইনের প্রয়োগ ঘটাতে পারে। সেখানে বিয়ে কোন যুক্তিতে নিরাপত্তার অংশ হয় না? এখানে প্রশ্ন আসতে পারে ঘরের বাইরে জগৎ আছে কিংবা অবিবাহিত মেয়েরা কোথায় নিরাপত্তা পাবে? তাদের নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব অবশ্যই রাষ্ট্রের। বিবাহিতদের ক্ষেত্রে আরও বেশি পরিমাণে রাষ্ট্রের এখতিয়ারে থাকে কেননা তারা চুক্তির অধীনে থাকে। সামগ্রিক বিষয়টার গুরুত্ব এজন্য বেশি যে এখানে ন্যূনতম পরিবার কাঠামোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

অথচ বাংলাদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং একই সাথে অর্থনৈতিক ভিত্তি হলো পরিবার। একজন নারী অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হওয়ার জন্য এনজিওর কাছে কেন যাবে? বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এধরণের পর্যালোচনা বেশ ধ্বংসাত্মক, কেননা তাতে পরিবারকাঠামো অনুপস্থিত।

পরিবারের অন্যতম ভিত্তি আবার বিয়ে। বিষয়গুলো এড়ানো অসম্ভব, কেননা রাষ্ট্রকাঠামো ফাংশন করার জন্য পরিবারের বন্ধন শক্তিশালী হওয়া দরকার। ইনডিভিজুয়ালিজম এমন পর্যায়ে নেওয়া উচিত নয় যেখানে একজন শিশু মূল্যবোধ শেখার জন্য প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান তথা পরিবার থেকে বঞ্চিত হয়।

 

সুত্রঃ https://www.facebook.com/share/16kaNi1nmA/

রিফাত

×