
ছবি: সংগৃহীত
এ বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান ৩ (তিন) দিনব্যাপী কুমিল্লার দৌলতপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, মানিকগঞ্জের তেওতা, চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় উদ্যাপিত হবে। চট্টগ্রামে নজরুল মেলা, নজরুল বিষয়ক আলোচনা ও জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নজরুল জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হবে। দৌলতপুরে মূল অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করবেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। নজরুল জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এবার জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘দু হাজার চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার।’ আগামী ২৫ মে সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও সচিব ঢাকায় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকায় সকল সড়কদ্বীপে এবং অন্যান্য জেলায় জাতীয় কবির ছবি, কবিতা, পরিচিতি ও চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হবে। অন্যান্য জেলায় স্থানীয় নজরুল গবেষক বা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সুধিজনের সহযোগিতায় কমিটি গঠন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপন করা হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরে আলোচনাসভার আয়োজন করা হবে। এছাড়া, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। বাংলাদেশের বৈদেশিক দূতাবাসসমূহেও দিবসটি উদ্যাপন করা হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা অনুষ্ঠান, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইসস্টিটিউট কবিকে বর্তমান প্রজন্মের সাথে পরিচিত করার লক্ষ্যে কবির ছবি, পোস্টার ও বই প্রদর্শনী এবং গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর বই প্রদর্শনী, পাঠ প্রতিযোগিতা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ৬শত স্মরণিকা ও ২০ হাজার পোস্টার মুদ্রণ করবে।
আবীর