
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের ৪দিন পর মো. শহিদুল ইসলাম নামে এক নিখোঁজ অটোরিক্সা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকালে উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের নিকড়া চক চারঘাট এলাকার একটি পুকুরের কচুরিপানায় ঢাকা ক্ষতবিক্ষত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত অটোরিক্সা চালক শহিদুল ইসলাম চুড়াইন ইউনিয়নের শংকরখালী গ্রামের চুন্নু মিয়া ও শিল্পী বেগমের ছেলে। গত ৪ মে রোববার সকালে বাড়ি থেকে অটোরিক্সা চালাতে বের হয়ে আর ফিরেনি। ওই দিন রাতে শহিদুলের বোন উর্মি আক্তার নবাবগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরী করেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৪ মে অটোরিক্সা চালক শহীদুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতে নিখোঁজের বোন উমি নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উমির খালাতো বোন মমতাজ শহিদুলের খোঁজ নিয়ে নিকড়া চক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নিকড়া বিলে কৃষাণদের জড়ো অবস্থায় দেখে এগিয়ে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারে কচুরিপানার ভিতর থেকে পচা দুর্গন্ধ ভেসে আসছে। উৎসক জনতা বিলে নেমে হাত-মুখ বাধা অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পান। এসময় মমতাজ বেগম শহীদুলের পরিবারকে জানায়। তাৎক্ষণিক নিহতের বাবা-মা ও বোন এসে নিখোঁজ অটোচালক শহীদুলের লাশ শনাক্ত করেন।
পরে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে ওসি মমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় লাশ থানায় নিয়ে আসেন।
নিহত শহীদুলের বোন উর্মি আক্তার বলেন, তাঁর ভাইকে অপহরণ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। লাশ গুম করার চেষ্টা করে দুবৃর্ত্তরা। দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, অটোরিক্সা ছিনতাই চক্র এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশের ময়নাতদন্ত ও মামলা প্রক্রিয়াধীন।
রাজু