ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

অবৈধ ২৬০০ সাইট বন্ধ করেছে বিটিআরসি

অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে পাচার হচ্ছে হাজার কোটি টাকা

শংকর কুমার দে

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ২ মে ২০২৫

অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে পাচার হচ্ছে হাজার কোটি টাকা

অনলাইন জুয়া

দেশে অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার বন্ধে নতুন সাইবার সুরক্ষা আইন পাস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের জুয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সারাদেশে অনলাইন জুয়ার সঙ্গে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ জড়িত। বিটিআরসি ইতোমধ্যে ব্লক করেছে অবৈধ দুই হাজার ৬০০টি জুয়ার সাইট। অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে হাজার কোটি টাকা।

ছাত্র-যুবসমাজ থেকে শুরু করে অনেক বয়স্ক, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। আইপিএল, বিপিএল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ জনপ্রিয় সব খেলা সম্প্রচারকালে ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে অনলাইন জুয়া বা বিভিন্ন বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন। এসব অনলাইন জুয়ার সাইট রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সাইপ্রাসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে আছে তাদের ডিলার বা প্রতিনিধি। অনলাইন জুয়ায় অনেকেই নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।

কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না অনলাইন জুয়ার আসর। দেশে এখন ভয়ংকর আতঙ্কের নাম অনলাইন জুয়ার আসর। তদন্ত সংশ্লিষ্ট অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি, বিটিআরসি ও সাইবার ইউনিট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন সাইবার সুরক্ষা আইন পাস হবে। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন সাইবার সুরক্ষা আইনটি পাস হবে বলে আশা করি। এই আইনে সাইবার স্পেসে জুয়া কিংবা অনলাইন জুয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আইন পাস হওয়ার পরে আমরা জুয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত কোম্পানিকে শাস্তি দেওয়া এবং বেটিং সাইটগুলো নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেব, ইনশাআল্লাহ।’  কিছুদিন ধরে বিকাশ, রকেটসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অনলাইন জুয়া, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ই-কমার্স এমএলএমের নাম করে অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠায় বেটিং সাইটগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত এমএফএস কোম্পানিগুলোর সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

এ বিষয়ে ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা মোবাইল ব্যাংকিংসহ ফাইন্যান্সিয়াল অর্গানাইজেশনগুলোকে আগাম সতর্কতা জানিয়ে রাখি। কেননা, সাইবার জুয়া কোম্পানিগুলো মোবাইল ব্যাংকিংসহ ব্যাংক, ফাইন্যান্সিয়াল হাউস কিংবা পেমেন্ট গেটওয়ে, এমএফএস, পিএসও, পিএসপি ইত্যাদির সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড। মাসের পর মাস নির্দিষ্ট কিছু পুলের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে ইরেগুলার, একমুখী এবং অস্বাভাবিক ট্রানজেকশন হচ্ছে।

একটা পুল অফ নম্বরে টাকা যাচ্ছে, সেটা নির্দিষ্ট নম্বরে গিয়ে ক্যাশ আউট হয়ে বাইরে পাচার হচ্ছে, আপনি দেখেও না দেখার ভান করে বলবেন, আমি জড়িত নই! এটা হবে না। সুতরাং অবৈধ জুয়ায় জড়িত সবাই সাবধান।’
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএলের (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ)। প্রতিবেশী দেশ ভারতের এই টুর্নামেন্ট চলবে দুই মাসব্যাপী। আইপিএলের এবারের আসরে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার নেই। তবে আইপিএল নিয়ে অনলাইন জুয়ার প্রচারণা সমানে চলছে বাংলাদেশে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশে অনলাইন জুয়া বেড়ে গেছে।

বিশেষ করে ক্রিকেটের আসর আইপিএল ও বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) চলাকালে তা আরও বেড়ে যায়। গত ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারির বিপিএলের পাশাপাশি চলমান আইপিএলের সময় একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, গুগলে বাংলাদেশে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন চলছে অবাধে। বাংলাদেশের শীর্ষ তারকারা অর্থের বিনিময়ে এসব বিজ্ঞাপনের প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশে অনলাইন জুয়ার বাজার কত টাকার, তার সঠিক হিসাব নেই। তবে দেশের কত মানুষ অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত, গত বছরের ২৪ জুন দিয়েছিলেন তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার একটি আনুমানিক হিসাব দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, দেশের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত।
অন্যদিকে গত বছরের ২০ জুন ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে অবৈধ অনলাইন বাজির বাজার বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থ সংগ্রহ করে। ২০২৪ সালের ১৩ মে ভারতের সংবাদমাধ্যম মিন্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী জুয়া নিষিদ্ধ।

তারপরও দেশটিতে অনলাইনে জুয়ার প্রচারণাসহ অন্যান্য কর্মকা- থেমে নেই। ভারতে জুয়ার বাজার বছরে তিন বিলিয়ন ডলারের সমান হবে। বিশ্বে অনলাইন গেমিং বাজারে চীনের পরে রয়েছে ভারত। আইপিএল ও নির্বাচনের সময় ভারতে অনলাইন জুয়ার প্রসার ঘটে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এখন মানুষের মুখে মুখে অনলাইন জুয়ার খবর। খেলার মাঠ থেকে শুরু করে রাস্তার মোড়, গাছের ছায়া, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, ভ্যানগাড়িতে বসেও অবাধে চলছে অনলাইন জুয়ার আসর। জুয়া খেলা ঘরের কোনা, জুয়ার বোর্ড, ক্যাসিনো বা জুয়া খেলার ঘর ছাড়িয়ে এখন চলে এসেছে মানুষের ঘরে ঘরে, হাতের মুঠোয়। জুয়া খেলা এখন আর পেশাদার জুয়াড়িদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে।

ছড়িয়ে পড়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, লুডু, ক্যারামসহ প্রায় সব ধরনের খেলাধুলায়। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ খুঁজে পাচ্ছে নিত্যনতুন জুয়ার আসর। সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষার্থী, যুবসমাজ, কর্মজীবী ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের হাতে হাতে এখন স্মার্ট মোবাইল ফোন। জুয়ার নেশায় মানুষকে শেষ করে দিচ্ছে জুয়ার নেশার আসক্তি। হুমকির মুখে ছাত্র-যুবসমাজের ভবিষ্যৎ।

ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ছাত্র-তরুণদের মধ্যে অনলাইন জুয়ার আসক্তি। মা-বাবার সান্নিধ্য, স্কুল-কলেজের পড়ালেখা, ব্যবসায়-বাণিজ্য, চাকরি কিছুই জুয়ার আসক্তদের ধরে রাখতে পারছে না। সন্তানরা মা-বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে, নানা অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য তার সবই করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোযোগ নেই, পারিবারিক অজুহাত দেখিয়ে স্কুল-কলেজ ও কোচিং সেন্টারে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত, জুয়ায় টাকা খুইয়ে মানসিক অশান্তি, খাওয়াদাওয়া, পড়ালেখায় মন নেই, সব সময় মাথায় ঘোরে জুয়ার লাভ-লোকসানের হিসাব। অনেকে কৌতূহলবশত জুয়ার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে হয়ে যাচ্ছে জুয়ায় আসক্ত। 
অনলাইন জুয়ায় যেভাবে প্রতারণা করা হয় তার উদাহরণ। পাত্র চাই, জার্মান ফেরত মেয়ের জন্য। নিজের নামে আছে দুই তলা বাড়ি আর তিন বিঘা জমি। ইনসানা রুহি। বয়স ২৯ বছর। ডিভোর্সি। কফিশপ আছে। গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। যে কোনো জেলার ভালো একজন পাত্র পেলে বিয়ে করে বিদেশে নিয়ে যাবেন। ‘ফেসবুক কমেন্টে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে মোবাইল নম্বর আর ঠিকানা সংগ্রহ করা যাবে’। লিংকে ক্লিক করলে তা নিয়ে যাচ্ছে বিদেশী মুদ্রা (ফরেক্স) বা ক্রিপ্টোকারেন্সি বেচাকেনা এবং বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার সাইটে।

কখনো নিয়ে যাচ্ছে এমন ওয়েবসাইটে, যেখানে রয়েছে অসংখ্য সুন্দরী মেয়ের ছবি। ছবি নিয়ে ভিডিও কল করুন লেখা বাটনে ক্লিক করলেই নিয়ে যাচ্ছে জুয়ার সাইটে। বাংলাদেশীদের জুয়ায় আকৃষ্ট করতে ফেসবুকে প্রতিনিয়ত দেওয়া হচ্ছে এমন ‘হানিট্র্যাপ’। ফেসবুকে ‘পাত্রী চাই’ লিখে সার্চ করে কয়েক ডজন পোস্ট পাওয়া গেছে। প্রতিটি পোস্টে একটি সুন্দরী মেয়ের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিবরণ একই, শুধু কোথাও বয়স বদলেছে, কোথাও পাত্রীর জমির পরিমাণ, আর কোথাও ছবি।

এক ছবি দিয়ে কখনো জার্মানি ফেরত, কখনো ইতালি ফেরত, কখনো লন্ডন ফেরত পাত্রী দেখানো হয়েছে। আর লিংকগুলোয় ক্লিক করলে নিয়ে যাচ্ছে ক্রিকিয়া, জিতবাজ, বাবু ৮৮, বাজি, সিক্স৬ বিডি, সিক্স৬এসবিডিটি অনলাইনের মতো জুয়ার সাইটে। চলতি বছরের শুরুতে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দেশে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ অনলাইনে জুয়ায় আসক্ত।
অনলাইন ভেরিফিকেশন ও মিডিয়া গবেষণা প্ল্যাটফর্ম ডিসমিসল্যাব। এই ডিসমিসল্যাবের এক গবেষণায় ১১টি সরকারি ওয়েবসাইটে তিন হাজারের বেশি বেটিং ওয়েবপেজের সন্ধান পাওয়া গেছে। অনলাইন ভেরিফিকেশন ও মিডিয়া গবেষণা প্ল্যাটফর্ম ডিসমিসল্যাব সার্চ করে গত জুলাই থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে ‘বিদেশফেরত পাত্রীর জন্য পাত্র চাই’ এমন ৪৩০টি পোস্ট পেয়েছে। এদের মধ্যে ৩৯৭টি অর্থাৎ ৯২ শতাংশই জুয়া বা বিদেশী মুদ্রা লেনদেনের সাইটে নিয়ে যায়।

পোস্টগুলো শেয়ারের পরিমাণও অবিশ্বাস্য। শুধু ফেসবুক নয়, ইউটিউবে কোনো ভিডিও দেখতে গেলেই হুট করে হাজির হচ্ছে জুয়ার বিজ্ঞাপন। এসব বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশী সংবাদ পাঠিকা, ভারতীয় ইন্টারনেট ব্যক্তিত্ব, পাকিস্তানি মডেল ও ইনফ্লুয়েন্সার, বাংলাদেশের খ্যাতনামা ক্রিকেটারসহ আরও অনেক সেলিব্রেটির ছবি ও এআই ভিডিও তৈরি করে জুয়ার প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।

এইআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো ওইসব ভিডিওতে একজন খ্যাতনামা ক্রিকেটারকে বলতে শোনা যায়, তিনি বেটিং করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। নতুন জুয়াড়ি হিসেবে নাম লেখালেই ৪২ হাজার টাকা পর্যন্ত বোনাস দেওয়ার লোভনীয় প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ওয়েসবাইটেও জুয়ার বিজ্ঞাপন চলে আসছে।
গেমিং, স্পোর্টস ও গ্যাম্বলিং বিষয়ক ওয়েবসাইট পে�টুডের মতে, অনলাইন ক্যাসিনোতে কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে আসতে পারলে অ্যাফিলিয়েট বা প্রচারকরা প্রতি খেলোয়াড়ের জন্য ৫০ থেকে ৪০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত কমিশন পেয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে যে খেলোয়াড়দের নিয়ে আসা হয়, সেসব খেলোয়াড়দের ব্যয় করা অর্থের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন পেয়ে থাকেন এই অ্যাফিলিয়েটরা।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো বাণিজ্যের সুবিধার জন্য মোবাইল ফোনে দিচ্ছে ছোট বড় প্যাকেজ আকারে ইন্টারনেট সুবিধা, যা সব শ্রেণির মানুষের সাধ্যের মধ্যে। এত সুবিধা অনলাইন জুয়াকে করেছে সহজ থেকে সহজতর। অনলাইন জুয়ায় বড় ভূমিকা রাখছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের প্রায় সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

ফলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে টার্গেট করে বিভিন্ন জুয়াভিত্তিক সাইটগুলো প্রতিনিয়ত তাদের লোভনীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছে। ‘গেম খেলে আয় করুন’- এমন হাজার হাজার টাকার বিজ্ঞাপন বারবার অনলাইনে প্রচার করা হয়। বিনা পরিশ্রমে লাখোপতি হওয়া যাবে, এমন বিজ্ঞাপনের লোভে পড়ে যাচ্ছে যুবসমাজ। অনলাইনে থাকলে অপ্রত্যাশিতভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন সামনে চলে আসছে, বুঝে হোক, না বুঝে হোক বা কৌতূহলী হয়ে সেই বিজ্ঞাপন দেখে প্রবেশ করে জুয়ার আসরে।

তরুণরাই তাদের মূল টার্গেট, একবার শুরু হলে আর ফেরার পথ নেই। জুয়ার বিজ্ঞাপনে অভিনয় করতে দেখা যায় বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েটরসহ জনপ্রিয় ব্যক্তিদের। অনলাইন জুয়া সাইটে টাকা লেনদেনে সুবিধা অনেক বাংলাদেশের বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায়। ফলে, জুয়া সাইটে টাকা বিনিয়োগ ও উত্তোলন অনেক সহজ।

খুব সহজেই লেনদেন সম্পন্ন করা যায়। অনলাইন জুয়ায় বিভিন্ন গেমস, ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ফুটবল বিশ্বকাপসহ নানা বড় ইভেন্ট সামনে এলে জুয়ার কারবার জমজমাট হয়ে ওঠে। দেশের বাইরে থেকে অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হচ্ছে।

আরো পড়ুন  

×