ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে দ্রুতই আসছে নগর পরিবহন!

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে দ্রুতই আসছে নগর পরিবহন!

ছবি: সংগৃহীত।

২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রথম বাসসেবা ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু হয়েছিল। এর পর আরও দুটি রুটে এই সেবা সম্প্রসারিত হয়। কিন্তু গত তিন মাস ধরে সেবা বন্ধ ছিল। এবার নতুন উদ্যোগ নিয়ে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি আবারও এই সেবা চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৪২টি রুটে একযোগে শুরু হবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ সেবা।

শুরুতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনা এবং যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবহন নিশ্চিত করতে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু করা হয়েছিল। তবে নতুন বাস না আসা, ব্যবস্থাপনায় উন্নতি না হওয়া এবং মালিকদের অনাগ্রহের কারণে প্রাথমিক সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দেড়শ বাস নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও, পরে ১২৮টি বেসরকারি বাস সেবা থেকে সরে গেছে, এবং ৫ আগস্টের পর সরকারি বিআরটিসিও বন্ধ হয়ে যায়।

এখন, যানজট কমাতে এবং যাত্রীদের আরামদায়ক পরিবহন সেবা দিতে, নতুন করে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৪২টি রুটে এই সেবা একযোগে চালু হবে, যা ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক সার্ভে অনুযায়ী রেশনালাইজ করা হয়েছে। ৩৮৮টি রুটের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৪২টি রুটে বাস চলবে, তবে রুটের সংখ্যা ৪০ থেকে ৪৫ এর মধ্যে হতে পারে।

নগর পরিবহন সেবা ঢাকা মহানগরীকে দুই ভাগে ভাগ করবে: নগর পরিবহন (৪২টি রুট) এবং শহরতলি পরিবহন (৮টি রুট)। এই সেবার আওতায় চলা বাস কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশন করা হবে; ব্যক্তির নামে বাস রেজিস্ট্রেশন বা রুট পারমিট দেওয়া হবে না। যদি দুটি কোম্পানি এক রুটে বাস চালাতে চায়, তাদেরকে জয়েন্ট ভেঞ্চারে আসতে হবে। এক রুটে এক কোম্পানির বাস চলবে এবং টিকিট ছাড়া কোনো বাস চলবে না।

নতুন পরিবহন ব্যবস্থায় প্রাথমিকভাবে হাতিরঝিল চক্রাকার বাস এবং ওয়াটার ট্যাক্সি চালু হবে। পরবর্তীতে ঢাকার চাকা এবং গুলশান চাকায় সেবা চালু করা হবে। বাসে অটো ডোর (নিউম্যাটিক ডোর) এবং ড্যাশক্যামসহ ক্যামেরা বসানো হবে, এছাড়া স্টপেজেও ক্যামেরা থাকবে। সিটের সংখ্যা ও সিঁড়ির ধাপও বাড়ানো হবে।

কোম্পানির মাধ্যমে ড্রাইভার ও হেল্পার নিয়োগ দেওয়া হবে, এবং তারা কোনো ভাড়া আদায় করবেন না। 

নুসরাত

×