ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

নির্বাচন একদিনও পেছাবে না: প্রেস সচিব শফিকুল আলম

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ২১ জুলাই ২০২৫

নির্বাচন একদিনও পেছাবে না: প্রেস সচিব শফিকুল আলম

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং একদিনও পেছাবে না এমন সুস্পষ্ট ও দৃঢ় বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন, তার মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচন একদিনও পিছাবে না। প্রফেসর ইউনূস যেই টাইমটা বলেছেন, একদিনও পিছাবে না।”

তিনি জানান, “উনি দুইটা ডেট দিয়েছেন। একটা হচ্ছে এপ্রিলের ১৫ তারিখ কাট-অফ টাইম। এপ্রিলের ১ থেকে ১৫-এর মধ্যে নির্বাচন হতেই হবে। তবে যদি এর আগেই সব সংস্কার সম্পন্ন হয়ে যায়, তাহলে ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ রোজার আগেই নির্বাচন হতে পারে।”

টকশোর এক পর্যায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের একটি বক্তব্য তুলে ধরা হয়, যেখানে তিনি ইঙ্গিত করেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশের সহায়তায় দেশে উদ্দেশ্যমূলক পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এই মন্তব্যের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, “আমার মনে হয় এখানে একটু গ্যাপ আছে। আমরা নিয়মিত বিএনপির সঙ্গে কথা বলছি। বড় বড় সমস্ত পার্টির সাথেই কথা বলছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা দ্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে পারি ইলেকশন একদিনও পিছাবে না। আমরা সত্যিকার অর্থে একটা গুরুদায়িত্ব নিয়ে এখানে এসেছি। আমরা আমাদের পুরনো কাজে ফিরে যেতে চাই। আমি যেমন জার্নালিজমে ফিরতে চাই, প্রফেসর ইউনূসও তার কাজে ফিরতে চান।”

শফিকুল আলম জানান, “এই সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট করেনি। মিটিং চলছে, এবং প্রতিদিনই কোনো না কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে। আমরা আশাবাদী যে ভালো একটি নির্বাচনী ফলাফল আসবে।”

প্রেস সচিব জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের এরপরে, মানে এই ১৫ তারিখের পরে আর কোনো ডেট নেই। দ্যাট ইজ আওয়ার ডেট এন্ড ডে।”

উপস্থাপক জানতে চান, সম্প্রতি বিটিভির দুইজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও কয়েকজনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে প্রেস সচিবের ব্যাখ্যা কী।

শফিকুল আলম জানান, “প্রত্যেকটা অফিসেরই নিজস্ব কিছু রুলস আছে। রুলস যদি কেউ ভায়োলেট করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ইনভেস্টিগেশন হবে, সাসপেন্ড হতে পারেন। এটা কি শুধু আমাদের? বিবিসি বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও এমন নজির আছে।”

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “আমি যখন এএফপিতে ছিলাম, তখন একজন রিপোর্টার গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন চাকরি চলে গিয়েছিল। তাই এটা ব্যতিক্রম কিছু না। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই একটি নীতি ও শৃঙ্খলা থাকে।”


সরকার প্রধানকে নিয়ে মন্তব্যের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, “আপনি যদি সরকারি কর্মচারী হন, আপনি সরাসরি সরকারপ্রধানকে সমালোচনা করতে পারবেন না। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ইন্সটিটিউশনাল নর্মস থাকে। ব্র্যাক, এএফপি কিংবা যেকোনো সংগঠনের কথাই বলেন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে পাবলিকলি সমালোচনা করলে প্রতিক্রিয়া আসবেই।”

 

 

 

 


সূত্র:https://tinyurl.com/5e3ckw87

আফরোজা

×