ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

গুম-খুনের পর বুড়িগঙ্গায় ফেলা হতো মরদেহ

প্রকাশিত: ১২:০১, ৯ নভেম্বর ২০২৪

গুম-খুনের পর বুড়িগঙ্গায় ফেলা হতো মরদেহ

বুড়িগঙ্গা

শেখ হাসিনার শাসনামলে গুমের পর হত্যা করে ফেলে দেওয়া হতো বুড়িগঙ্গায়। আবার কিছু মানুষকে বছরের পর বছর ধরে আটকে রাখা হতো গোপন জায়গায়। ঢাকায় এমন গোপন বন্দিশালা রয়েছে একশোরও বেশি

 

গুম তদন্ত কমিশনের তথ্যানুযায়ী, এসব বন্দিশালার মধ্যে খোঁজ মিলেছে মাত্র আটটির। এসবের ৪৪ শতাংশ অভিযোগ র‍্যাবের বিরুদ্ধে। গুমের আলামত নষ্টের চেষ্টায় ফেঁসে যেতে পারেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

 

গুমের ঘটনায় হত্যার পর ঘাটে বাঁধা নৌকায় করে মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হতো ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গাতে। 

 

গুম তদন্ত কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, সেই আমলে গুমের পর হত্যা করে বুড়িগঙ্গায় ফেলা হতো। আবার অনেককে গোপন জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে অনেক বছর ধরে। জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা এসবের সাথে জড়িত।

 

গত ৫ আগস্টের পর থেকেই এসব গুমের তথ্য তথ্য সামনে আসতে থাকে। ২৭ আগস্ট গুম তদন্ত কমিশন গঠিত হলে সব অভিযোগ আরও স্পষ্ট হয়।

 

কমিশন এ পর্যন্ত কথা বলেছে ৩৮৩জনের সঙ্গে। তারা বিভিন্ন বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।  র‍্যাবের বিরুদ্ধে ১৭২টি, ডিবির বিরুদ্ধে ৫৫টি, সিটিটিসির বিরুদ্ধে ৩৭টি, ডিজিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ২৬টি, পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি এবং অন্যান্য বাহিনীর বিরুদ্ধে ৬৮টি অভিযোগ এসেছে।

 

রাজনৈতিক কারণসহ মোট চার কারণে এসব গুম করত বাহিনীর সদস্যরা। এখন বন্দিশালা ভেঙে সব প্রমাণ নষ্ট করা হচ্ছে।

 

গুম তদন্ত কমিশনের সদস্য নাবিলা ইদ্রিস বলেন, বর্তমান কমান্ডিং কর্মকর্তারা আলামত নষ্ট করতে গেলে তারা দোষী কর্মকর্তাদের ক্রাইমে সম্পৃক্ত হয়ে যাবেন।

 

তিন থেকে চার ফুট দৈর্ঘ্যের ঘরে বছরের পর বছর আটকে রেখে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করা হতো বন্দীদের।

তানজিলা

×