উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
সারাদেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আগামী দুই মাসের জন্য বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর এই বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, প্রবাসীকল্যাণ ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল গণমাধ্যমে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শিল্পাঞ্চলগুলোতে নাশকতা, অরাজকতা এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার মতো কিছু কর্মকাণ্ড ঘটছে বলে আমরা লক্ষ্য করেছি। উদ্ভূত পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে সীমিত সময়ের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি তারা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো অপপ্রয়োগ ঘটবে না। পরিস্থিতির উন্নয়ন হলে সেনাবাহিনীর এই দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।’
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৮৯৮ এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো। ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩, ১৪২ অনুযায়ী এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তারা অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারবেন। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থাও গ্রহন করতে পারবেন।
এম হাসান