সজীব ওয়াজেদ জয়
গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শিশুসন্তানের জন্য ওষুধ কিনতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন নগরীর বিনোদপুর এলাকায় যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদেআব্দুল্লাহ আল মাসুদ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে মাসুদের ওপর হামলা করা হয়। পরে একদল শিক্ষার্থী তাকে প্রথমে মতিহার থানায় নিয়ে যান। কিন্তু মতিহার থানায় ৫ আগস্টের সহিংসতার কোনও মামলা নেই। তাই বোয়ালিয়া থানায় আনা হয়, যেন কোনও সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর দেখে সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এই সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং এক্সে (পূর্বের টুইটার) শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন। পোস্টে জয় লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবদুল্লাহ আল মাসুদ। জামাত-শিবির তাঁর এক পা কেটে নিয়েছে ২০১৪ সালে। তখন বাকি হাত-পাগুলোর রগও কেটে দিয়েছিল। দশ বছর ধরে পঙ্গু জীবন যাপন করছিল। গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছিল। মেয়ের জন্য ওষুধ আনতে রাজশাহীতে বাড়ির পাশে ফার্মেসিতে গিয়েছিল। আর সেখানেই তাঁকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা।’
মৃত্যুর সময় মাসুদ কাকুতিমিনতিতে করেছিল উল্লেখ করে জয় লিখেন, ‘মৃত্যুর সময় এক ফোঁটা পানি চেয়েছিল, তাও দেয়নি। কাকুতিমিনতি করে বলেছিল—“আমার চার দিনের একটি সন্তান আছে”—কিছুই তাদের মন গলাতে পারেনি। কারণ মাসুদ এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করত।’
সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন, ‘জানা গেছে, শিবির ক্যাডার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার এই হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছে। আমি মাসুদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, এবং অবিলম্বে ঘাতকদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
মাসুদের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। বাবা নেই, মা শয্যাশায়ী। সজীব ওয়াজেদ জয়ের দাবি, জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসীরা মাসুদকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
তাসমিম