কোন ব্যাক্তিই যেনো ২ মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ভোগ না করতে পারে এমন দাবী
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এসময় প্রায় ৪০০ অতিথি শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বঙ্গভবনে পৌঁছান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. ইউনূসের গাড়িবহর প্রবেশের পর বঙ্গভবনে প্রবেশের পথ ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সেনা সদস্যরা।
তবে এসময় বঙ্গভবনের বাইরে দেখা যায় ভিন্ন এক পরিবেশ। হাজারও মানুষ বাইরে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে জানান দেন দেশকে নিয়ে তাঁদের ভাবনা।
এসময় গণমাধ্যমের কাছে উপস্থিত জনগন জানান, আমাদের ছাত্ররা আমাদের পথ দেখিয়েছে, তাঁরা আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছে কিভাবে স্বৈরাচার বিদায় করে গণতন্ত্রের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
এসময় বঙ্গভবনের সামনে উপস্থিত বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদিন ফারুক জানান, বিগত স্বৈরাচার যেভাবে নির্যাতন করেছেন এর বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
উপস্থিত রাজনীতিবিদদের আশা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত সময়ের মাঝে নির্বাচন দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে অব্যাহত রাখবে।
এসময় উপস্থিত জনতা গণমাধ্যমের কাছে জানান, আবু সাইদ-মুগ্ধদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীনতা। তাঁরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দাবী জানিয়েছেন, কোন ব্যাক্তিই যেনো ২ মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ভোগ না করতে পারে এমন একটি আইনের।
উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ জানান, অন্তর্বতী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে তাঁদের। তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা। যাতে এই ক্ষমতা আর কেউ অপব্যবহার করতে না পারে। এ জন্য এই সরকারকে যতটা সময় দেয়া দরকার সেটা দিতে চান এই নেতা।
উপস্থিত ছাত্র-জনতারা জানান, এই ছাত্র অভ্যত্থান এর ফলেই সৃষ্ট হয়েছে নতুন বাংলাদেশের। জনগণের আশা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে নতুন এক দিগন্তের পথে।
বারাত