প্রধান উপদেষ্টা থাকবেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়
প্রধান উপদেষ্টার জন্য প্রস্তুত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই ভবনে থাকবেন। এর আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টাগণ এই ভবনেই ছিলেন।
তাই প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসের নাম ঘোষণার পরই যমুনার চেয়ার-টেবিল, ফার্নিচার নতুন করে সাজানো হয়েছে। পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে ভবনের আশপাশ এলাকা। জোরদার করা হয়েছে ভবনের নিরাপত্তা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনা থানার পুরনো ভবনের উল্টোদিকে রাষ্ট্রীয় এই অতিথি ভবনে গিয়ে দেখা যায়, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। কেউ সীমানা প্রাচীরের পরিষ্কারে ব্যস্ত আছেন। আবার কেউ ভেতরে ঝাড়ু দিচ্ছেন। কেউ ব্যস্ত সাজসজ্জার কাজে।
একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানান, মাঠের ঘাস কাটা ও গাছগাছালি পরিষ্কার হয়েছে। কিছু কাজ বাকি আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা শেষ হবে। ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতেই ছিলেন। ২০০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদও এই ভবনেই ছিলেন।
সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম ভূঞা জানান, এবারও প্রধান উপদেষ্টার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল শাখা থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। লনগুলো পরিষ্কার করা, ঘাস কাটার কাজ শুরু হয়েছে। চেয়ার-টেবিল, ফার্নিচার নতুন করে সাজানো হচ্ছে। পিডব্লিউডির প্রধান প্রকৌশলী এই কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
নতুন সরকারের প্রতিনিধিদের জন্য কতটি আবাসন সাজানো হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো সবার নামের তালিকা পাইনি। আমরা অপেক্ষায় আছি। আগের মন্ত্রীদের যে বাংলোগুলো ছিল সেগুলোই প্রস্তুত করছি। আমাদেরকে ২০টি আবাসন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।