এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিন।
থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে এডিসি হারুন কর্তৃক মারধরের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটির সময় আরো তিন কার্যদিবস বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন :বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেন সিদ্দিকুর রহমান
এদিকে, গত ১২ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া রমনা জোনের সাবেক এডিসি হারুন ২০ সেপ্টেম্বর রংপুর রেঞ্জে যোগদান করেছেন। আদেশের এক সপ্তাহ পর তিনি সেখানে যান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য হলেন- রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটির ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন তদন্ত শেষ করতে না পারায় ডিএমপি কমিশনারের কাছে আরও পাঁচ দিন সময় চায় কমিটি। পরে তাদের পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন কমিটি আরো সাত দিন সময় চায়। পরবর্তীতে সাত দিনের বদলে তিন দিন সময় বাড়িয় দেন ডিএমপি কমিশনার। ওই তিন দিনের সময় ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। এবার আরো তিন দিন সময় পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশিদ এই মারধরে নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী ডিএমপির এডিসি সানজিদা আফরিন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি চিকিৎসা নিতে ওই দিন সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতে তিনি সহকর্মী হিসেবে এডিসি হারুন অর রশিদের সহায়তা নেন। এ সময় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে এসে এডিসি হারুনকে মারধর করেন তার স্বামী আজিজুল।
এম হাসান