ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রথম পাতাল  মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ  আজ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:৫২, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

প্রথম পাতাল  মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ  আজ শুরু

দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার

দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ ডিপো নির্মাণের মাধ্যমে এর কাজ শুরু হবে। বৃহস্পতিবার  বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জের পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় এমআরটি লাইন-১’র ডিপো নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর জনতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসম্মুখে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ বিষয়ে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উদ্দীন নূরী জনকণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ কাজ শুরু বৃহস্পতিবার থেকে। ওইদিন সকাল ১১ টায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাতালের ডিপো নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।’ এর মাধ্যমে দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকার যানজট ও জনসংখ্যার হিসাব এবং বাস্তবতা বিবেচনা করে পাতাল রেল নির্মাণ করা হচ্ছে। দুটি রুটে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বিমান বন্দর রুটে উত্তরা বিমান বন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার হবে মাটির নিচ দিয়ে (পাতাল)। এছাড়া নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার হবে উড়াল পথে।’
পাতাল রেল নির্মাণের সময় আশপাশের ভবনগুলোর কোনো সমস্যা হবে না উল্লেখ করে এম এ এন ছিদ্দিক জানান, ‘টিবিএম নামে এক রোবট মেশিনের মাধ্যমে মাটি খোঁড়া হবে, যা শব্দহীন। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকবে পাতাল রেলস্টেশনে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর আটটি কোচ দিয়ে আড়াই মিনিট পরপর এক একটি ট্রেন এসে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াবে। সে হিসেবে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে। পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের জন্য ৯২ দশমিক ৯৭২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ৫২ হাজার ৫৬১ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এবং জাইকা এর অর্থায়ন করবে।’

×