ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মেট্রোরেল যাত্রার এক মাস: এখনো কাটেনি যাত্রীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা

তাসমিম সুলতানা

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ১৫:০৮, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩

মেট্রোরেল যাত্রার এক মাস: এখনো কাটেনি যাত্রীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা

মেট্রোরেলে যাত্রীরা, ছবি জনকণ্ঠ

স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধনের এক মাস পার হবার পরও গাড়িতে চড়তে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন উৎসাহী মানুষ। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হবার কারণে অনেকেই মেট্রোরেলে চড়তে স্টেশনগুলোতে ভিড় করছেন।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) আগারগাঁও স্টেশনে সকাল ৮টায় মেট্রোরেলের ভিতর জনকণ্ঠের প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় অনেক যাত্রীর। 

তারা জানিয়েছেন, মূলত মেট্রোরেলে চড়তে আসেন অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। অনেকেই পরিবার নিয়েও এসেছে আনন্দ ভ্রমণের জন্য।

রফিকুল নামের একজন যাত্রী জানান, রাজশাহী থেকে আমি আমার চাচাকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি মেট্রোরেল দেখার জন্য। আমি খুব আনন্দিত।

তার চাচা হাফিজুর রহমান বলেন, মেট্রোরেলে চড়ার স্বপ্ন অনেক দিনের। আজ সে স্বপ্ন পূরণ হলো। আমি তো চিন্তাও করতে পারিনি এমন একটা দৃশ্য দেখবো। খুবই ভালো লাগছে।

মেট্রোরেলে যাত্রীরা, ছবি জনকণ্ঠ

কথা হয় রকিব নামের যুবকের সঙ্গে। খুলনা থেকে আসা এই তরুণ বলেন, স্বপ্নের মেট্রোরেল দেখতে ও চড়ে অনুভূতি নেওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিলাম টিকিটের লাইনে। তারপরও শেষ পর্যন্ত এতে চড়তে পেরেছি, সেটাই আনন্দের।

আরেক যাত্রী মাহবুব অনুভূতি জানিয়ে বলেন, আগারগাঁও থেকে উত্তরা যেতে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট লাগে।  ভালই লাগছে।

মিরপুরের রেহানা তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আগারগাঁও স্টেশন থেকে উত্তরা যাচ্ছেন। তিনি বলেন, মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা এবং উত্তরায় নাস্তা করার জন্য যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, স্বপ্নের মেট্রোরেল চালু হয়েছে সে কারণেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করার জন্য এসেছি। বেশ কিছুক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কেটে এখন যাচ্ছি। অনেক ভালো লাগছে, যা বলে বোঝানো যাবে না।

রোকসানা বেগম এসেছেন মেট্রোরেলে চড়ে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। এ সময় তিনি বলেন, আমার বাসা মগবাজার। অভিজ্ঞতা নিতে এসেছি। আমরা পরিবারসহ এসেছি। জনপ্রতি ৬০ টাকা করে মোট চার জনের টিকিট কেটে চড়লাম।

মানুষের ভিড়ের কারণে অনেকে প্রয়োজনের সময় গন্তব্য পৌঁছাতে পারেননি। আবার অনেকে টিকিটই সংগ্রহ করতে পারেনি। আবার কেউ কেউ বলছেন, মেট্রোরেলের চলার সময় ৮টা থেকে ১২টা অফিসগামীদের জন্য অনুকূল নয়। অনেকেই সময় বাড়ানোর দাবি জানান। 

একজন চাকরিজীবী বলেন, আমার বাসা মিরপুরে কিন্তু অফিস উত্তরায়। আমার মেট্রোরেলে চলাচল করা দরকার। কিন্তু সকাল থেকে যে লাইন তৈরি হয়, এর পেছনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে অফিস করা কঠিন।' কিন্তু আজ ছুটির দিন হওয়াতে মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা নিতে এসেছি।

স্টেশনে অবস্থিত মেট্রোরেল সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান, মানুষের উৎসাহ কমে গেলে ও অভ্যস্ত হয়ে উঠলে মেট্রোরেলের চলার সময় বাড়ানো হতে পারে। আর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বর্তমানে মেট্রোরেল সপ্তাহে একদিন মঙ্গলবার বন্ধ রাখা হচ্ছে। 

এখন উৎসাহী যাত্রীদের সংখ্যাই বেশি উল্লেখ করে বলেন, যারা এই লাইনে নিয়মিত যাতায়াত করবেন, তাদের সংখ্যাটা কম। আমাদের যে টিকিট বিক্রি হয়, তার ৯৫ ভাগ উৎসাহী জনগণ। আমরা আগে উৎসাহী জনগণকে সামাল দিয়ে নেই তারপর সব ঠিক করবো।

জানা যায়, আগামী ২৬ মার্চ থেকে মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশনের মাঝে বাকি সাত স্টেশনেও থামবে।

এর আগে, ২৯ ডিসেম্বর থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য চালু হয়েছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। 

×