ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রস্তাব অনুমোদন

তেল গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করতে পারবে সরকার

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২৮ নভেম্বর ২০২২

তেল গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করতে পারবে সরকার

তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা বিইআরসির পাশাপাশি সরকারের কাছেও আসছে

তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা বিইআরসির পাশাপাশি সরকারের কাছেও আসছে। এখন থেকে বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার চাইলে ট্যারিফ বা মূল্য নির্ধারণ করতে পারবে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।

এছাড়া বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন-২০২২ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশে ছোট একটি সংশোধন নিয়ে আসা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সরকার চাইলে ট্যারিফ নির্ধারণ করতে পারবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশে ২০২২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট জ্বালানি সংকট নিরসনে বেসরকারিভাবে জ্বালানি আমদানির দ্বার খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সোমবার ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় মন্ত্রিসভার সদস্যরা এ বিষয়ে আলোচনা করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি বেসরকারিভাবে আমদানির ব্যবস্থা করা যায় কি-না, তা নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুটি অপশন- বেসরকারি আমদানিকারকরা আমদানি করে নিজেরাই বাজারে বিক্রি করলে তাতে কি বেশি ভালো হবে?
তিনি বলেন, এখন যে আইন আছে তারা (বেসরকারি আমদানিকারকরা) ক্রুড অয়েল আনবে, এনে তারা যদি পরিশোধন করে। এখন তো আমাদের বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) ছাড়া কেউ জ্বালানি বাজারজাত করতে পারে না। সাধারণত ক্রুড অয়েল রিফাইন করে ৪১ থেকে ৪২ শতাংশ রিফাইনড অয়েল হয়।
তিনি বলেন, পরিশোধিত তেল তারা বিপিসির কাছে দিয়ে দিল অথবা তারা সরাসরি বাজারজাত করতে পারে কি-না সেটাও দেখতে হবে। তবে যেটা করতে হবে তা হলো ক্রুড অয়েল যারা আনবে, বিটুমিনসহ অন্যান্য যে উপজাত পণ্য আসবে এগুলো হয় তারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবে অথবা বাইরে রপ্তানি করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, তবে পরিশোধিত তেলের বিষয়ে দুটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হয় তারা বিপিসির কাছে বিক্রি করে দিতে পারে বা বিপিসি তাদের অন্য কোনো পদ্ধতিতে বা আইন সংশোধন করে বিক্রির অনুমতি দিতে পারে। এক্ষেত্রে যেটা রিফাইনড হলো সেটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য কি-না, তা বিএসটিআইকে মনিটরিং করতে হবে। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনায় রাখতে বলা হয়েছে এবং শীঘ্রই সিদ্ধান্তে যেতে বলা হয়েছে।

×