ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জানালেন কমিশনার আলমগীর

সব ভোটারের দশ আঙ্গুলের ছাপ নেবে ইসি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

সব ভোটারের দশ আঙ্গুলের ছাপ নেবে ইসি

সব ভোটারের দশ আঙ্গুলের ছাপ নেবে ইসি

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগেই সকল ভোটারের দুই হাতের ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর এ তথ্য জানান।
মোঃ আলমগীর আরও জানান, ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেয়ার সময় আঙ্গুলের ছাপ মিলতে হবে। তাই  সবার ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেয়া থাকলে ভোট দেয়ার সময় আঙ্গুলের ছাপ না মেলার সমস্যা অনেকাংশে কেটে যাবে। কারণ, ১০ আঙ্গুলের ছাপ নিলে যদি একটা আঙ্গুলও মিলে যায়, তবু ভোটার ভোট দিতে পারবে। এখন চার আঙ্গুলের ছাপ থাকায় অনেকেরই মেলে না। তখন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দেন। এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে যে, ইভিএমে নাকি ভোট কারচুপির সুযোগ থেকে যায়।
মোঃ আলমগীর বলেন, ইভিএমে ভোট দেয়ার প্রথম শর্তই হলো যার ভোট তিনিই দেবেন। এ ক্ষেত্রে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ মিলতে হবে।  ভোটার যখন আঙ্গুলের ছাপ দেবে ইভিএমে সঙ্গে সঙ্গে তার নাম ও ছবি ভেসে উঠবে। আর ভোটার ওই কেন্দ্রের না হলেও বলে দেবে যে, আপনি এই কেন্দ্রের ভোটার নন। আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে দু’টো কাজ এক সঙ্গে হয়। ভোটারের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ওপেন হয়ে যায়।

তখন ভেতরে গেলেই ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু কারো আঙ্গুলের ছাপ যদি না মেলে, তখন তিনি ভোট দিতে না পারলে সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়। সেজন্য প্রিসাইডিং অফিসার নাম, পরিচয় ও এনআইডি নম্বর মিলিয়ে দেখেন। এরপর পরিচয় শনাক্ত হলে এনআইডি নম্বর ব্যালট ইউনিটে দেয়া হয়। এই তিনটা যদি মিলে যায় তবেই প্রিসাইডিং অফিসার ভোটারের পরিবর্তে নিজের আঙ্গুলের ছাপ দেন। তখন ব্যালট ইউনিট সচল হয়।

তবে তিনি ভোট দিতে পারেন না। তিনি কেবল সচল করে দেন, তখন ভোটারই ভোট দেন। সেটার রেকর্ডও আবার ইভিএমের মধ্যে থেকে যায়, কয়জনকে তিনি এই সুযোগটা করে দিয়েছেন। এমন ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুযোগটা করে দিতে পারেন। ৫শ’ ভোটার কোন কেন্দ্রে থাকলে ৫ জন ভোটারকে তিনি সুযোগটা দিতে পারবেন।

×