
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
যারা রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার, তারাই এখন মিয়ানমারের সঙ্গে চুটিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার ( ১৪ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলেতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা খুব কনসার্ন। আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় তারা ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের সাহায্যও করতে চায়। এটা ভালো।
ড. মোমেন বলেন, তবে দুঃখের বিষয়, যারা রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার, তারাই এখন মিয়ানমারের সঙ্গে চুটিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবসা সাড়ে তিন থেকে পনের গুণ বেড়েছে।
যুক্তরাজ্যের ব্যবসা বেড়েছে ১০০ গুণ, গত ৫/৬ বছরে বিনিয়োগ বেড়েছে ২.৩ বিলিয়ন। আর আমাদের গত ৫০ বছরে ২.৫ বিলিয়ন। এগুলো আমার কাছে তাজ্জব মনে হয়, এগুলো নিয়ে আপনারা আলাপ করতে পারেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, গুমের বিষয়ে তিনি আলাপ তোলেননি। আমি তুলেছি। বিশেষ করে ডেভিড বার্গম্যান ও ব্র্যাড অ্যাডামস যে অভিযোগ করেছেন, সেটা বলেছি। দেশ উন্নতি করছে, সেটা তাদের পছন্দ নয়।
তাই তারা এসব অভিযোগ করছেন। আর অভিযোগ রয়েছে ডেভিড বার্গম্যান টাকা নিয়ে এসব কাজ করেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়ও তিনি বিচারের বিপক্ষে কাজ করেছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলেত রবিবার (১৪ আগস্ট) চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থার প্রধান হিসেবে এটিই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।