আর্মড পুলিশের নারী ব্যাটালিয়ন
ভিভিআইপি নিরাপত্তার দেয়া থেকে শুরু করে চেকপোস্ট স্থাপন কিংবা ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনায় অংশ নিচ্ছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) স্বতন্ত্র নারী ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন-১১)। নানাবিধ কাজ সফলতার সঙ্গে করলেও সম্প্রতি আভিযানিক কাজেও সফলতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ব্যাটেলিয়নটি। ইতোমধ্যে জনবল ৮৫০ জনে উত্তীর্ণ করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মাদক উদ্ধার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় এপিবিএন-১১ এর কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি শাহীনা আমিন এমনটি তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত এসপি (অপারেশন) তানিয়া ইয়াসমিন, এএসপি আমেনা আক্তার, এএসপি (ইনটেলিজেন্স) রুনা লায়লা ও জাকিয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি শাহীনা আমিন বলেন, স্বতন্ত্র নারী ব্যাটালিয়ন হিসেবে আমরা আমাদের সবগুলো মূল কাজে (অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ও অন্য সংস্থাকে সহায়তা) হিট করতে চাই। এজন্য পর্যাপ্ত জনবলের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রনালয়ে। আশা করি, জনবল বাড়লে আভিযানিক কার্যক্রমে সফলতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
এপিবিএন-১১ এর তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ৭৬৪টি অভিযান পরিচালনা করেছে ইউনিটটি। এসব অভিযানে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১ হাজার ১৩৫ পিস ইয়াবা, ৫ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ২ বোতল বিদেশি মদ, ১৬ বোতল চোলাই মদ, ১৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে। এই ৭ মাসে বিএসটিআইয়ের ৮৪টি অভিযান, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ১১৪টি অভিযান ও ৫৪৭টি টহল চেকপোস্ট পরিচালনা করেছে।