রওশন এরশাদের খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী
নিজ আসন ছেড়ে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তাঁর শারিরীক অবস্থার খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর আশু রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
দীর্ঘদিন বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে দেশে ফিরে বুধবারই হুইল চেয়ারে করে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ। সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করে তাঁর আসনের সামনে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।
বেগম রওশন এরশাদ তাঁর বাজেট আলোচনায় কিছুটা সুস্থ্য হয়ে দেশে ফিরে সংসদে কথা বলতে পারায় আল্লাহ’র দরবারে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, গত বছর আগস্ট মাস থেকে অসুস্থ্য হয়ে দেশে-বিদেশে চিকিৎসাধীন ছিলাম। সুস্থ্য হয়ে আপনাদের মাঝে এসে কথা বলতে পারছি, আল্লাহ’র দরবারে শুকরিয়া। বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণকালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন, অনেকেই আমার জন্য দোয়া করেছেন। সেজন্য তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
এদিকে, নিজ আসন ছেড়ে গিয়ে বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে দেখা করা এবং শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেওয়ার ঘটনা দেখে সরকার ও বিরোধী দলের অনেক সংসদ সদস্যই এই ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহমর্মিতা ও মহানুভবতার সুন্দর উদাহরণ হিসেবে মন্তব্য করেন।
পরে এক সংশোধনী প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, দীর্ঘদিন পর জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। তাঁর শারিরীক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে সংসদ নেতা নিজেই তাঁর আসনের কাছে চলে গেছেন। এটাই হচ্ছে সংসদীয় গণতন্ত্রের বড় সৌন্দর্য্য।
উল্লেখ্য, চিকিৎসা শেষে সাত মাস পর গত সোমবার থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেন রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদকে গত বছরের ৫ নবেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেওয়া হয়। ব্যাংকের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলে। ফুসফুসের জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে তার আগে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) টানা ৮৪ দিন চিকিৎসা নেন রওশন এরশাদ। আগামী ৪ জুলাই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বেগম রওশন এরশাদের আবারও ব্যাংক যাওয়ার কথা রয়েছে।
