ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদ্্যাপনে বর্ণিল শোভাযাত্রা

প্রকাশিত: ২৩:২০, ১৯ মে ২০২২

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদ্্যাপনে বর্ণিল শোভাযাত্রা

সংস্কৃতি প্রতিবেদক ॥ যে কোন দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য কিংবা সভ্যতা-সংস্কৃতির পরিচয় মেলে ধরতে বিকল্প নেই জাদুঘরের। সেই সুবাদে অতীতের সঙ্গে বর্তমান এবং বর্তমানের সঙ্গে ভবিষ্যতের সেতুবন্ধ গড়ে তোলে জাদুঘর। বুধবার ছিল ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষ্যবহ আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস। ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামসের (আইসিওএম) আহ্বানে ১৯৭৭ সাল থেকে ১৮ মে বিশ্বব্যাপী উদ্্যাপিত হয় আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস। সেই বৈশ্বিক বাস্তবতায় বাংলাদেশেও সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হয়েছে দিবসটি। এবার দিবসরটির প্রতিপাদ্য ছিল দ্য পাওয়ার অব মিউজিয়ামস বা জাদুঘরের ক্ষমতা। বুধবার আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের সকালে সাজ সাজ রব পড়ে যায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর আঙিনায়। মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ। দিবসটি উদ্যাপনে বের করা হয় বর্ণিল শোভাযাত্রা। অন্তরীক্ষে উড়িয়ে দেয়া হয় অজ¯্র রঙিন বেলুন। আয়োজনে যুক্ত ছিল সঙ্গীতের সুরেলা শব্দধ্বনি। রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীতের সঙ্গে আধুনিক গানের সুরে সিক্ত হয়েছে শ্রোতার। সঙ্গে ছিল জাদুঘর দিবসনির্ভর আলোচনা সভা। এভাবে নানা আয়োজনে উদ্যাপিত হয়েছে দিবসটি। জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মোঃ আবুল মনসুর। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ বলেন, জাদুঘরকে বলা হয় গণবিশ্ববিদ্যালয়। কারণ জাদুঘরে এসে সরাসরি জ্ঞান আহরণ করেন দর্শনার্থীরা। জাদুকরকে আরও বলা হয় সমাজের দর্পণ। একটি দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংগ্রহশালার পাশাপাশি এসব পরিচয়কে ধারণ করে জাদুঘর। তাই জাদুঘর আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম জাদুঘরে এসে জানতে পারে তার অতীত ইতিহাস কিংবা পূর্বপুরুষদের কীর্তিগাথা। সম্ভবত এসব কারণেই হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক এক করে গড়ে উঠেছে জাদুঘর। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সারা দেশে সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে প্রায় ১৫০টি জাদুঘর রয়েছে। এসব জাদুঘরকে যুগোপযোগী ও আধুনিকীকরণ সময়ের দাবি। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বের জাদুঘরগুলোর সঙ্গে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। সে লক্ষ্যেই বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর অধ্যাদেশ-১৯৮৩ রহিত করে যুগোপযোগী জাদুঘর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। গত ৩০ মার্চ জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিল-২০২২’ পাস হয়েছে যা সম্প্রতি গেজেটভুক্ত হয়েছে। শুরুতে বর্ণিল উড়িয়ে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এরপর বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। জাদুঘর থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে পুনরায় জাদুঘর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয় শোভাযাত্রা।
×